NASA জানিয়েছে, সুনিতা ইউলিয়ামস ও ব্যারি ইউলমোরকে আরও কিছুদিন মহাকাশে থাকতে হতে হবে। অন্তত পরবর্তী মহাকাশযান মহাকাশে পাঠানো পর্যন্ত। NASA আরও জানিয়েছে, ইলন মাস্ক প্রতিষ্ঠিত স্পেসএক্স তাদের পরবর্তী মহাকাশ অভিযান শুরু করবে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর। স্পেসএক্স এর মহাকাশযান যখন ফিরে আসবে, তাতে করেই তাঁদের ফিরিয়ে আনা যাবে।

যাত্রা শুরু করেছিলেন গত ৫ জুন। কথা ছিল, মহাকাশে কিছুদিন কাটিয়ে জুন মাসের মধ্যেই আবার ফিরে আসবেন পৃথিবীতে। কিন্তু তা আর হল না। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই আটকে গেলেন NASA র দুই অভিজ্ঞ মহাকাশচারী ভারতীয় বংশদ্ভুত মার্কিন নাগরিক সুনিতা ইউলিয়ামস ও ব্যারি ইউলমোর। কারণ তাঁদের মহাকাশে নিয়ে যাওয়া বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটিতে কিছু ত্রুটি দেখা দিয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত মেরামত করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ত্রুটি মেরামতের চেষ্টা চলছে।
তবে NASA জানিয়েছে, সুনিতা ইউলিয়ামস ও ব্যারি ইউলমোরকে আরও কিছুদিন মহাকাশে থাকতে হতে হবে। অন্তত পরবর্তী মহাকাশযান মহাকাশে পাঠানো পর্যন্ত। NASA আরও জানিয়েছে, ইলন মাস্ক প্রতিষ্ঠিত স্পেসএক্স তাদের পরবর্তী মহাকাশ অভিযান শুরু করবে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর। চারজন মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠানোর কথা থাকলেও এই অভিযানে এখন দুজনকে পাঠানো হবে। সুনিতা ইউলিয়ামস ও ব্যারি ইউলমোরকে ততদিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকতে হতে পারে। স্পেসএক্স এর মহাকাশযান যখন ফিরে আসবে, তাতে করেই তাঁদের ফিরিয়ে আনা যাবে।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা NASA মহাকাশে যান পাঠানোর ব্যাপারে বোয়িং ও স্পেসএক্স এর সঙ্গে যথাক্রমে ৪২০ ও ২৬০ কোটি মার্কিন ডলারে চুক্তিবদ্ধ। এর আগে স্পেসএক্স ৯ বার মহাকাশে নভোচারীদের নির্বিঘ্নে পৌঁছে দিয়েছে। আর বোয়িং এর এটাই ছিল প্রথম বারের জন্য মহাকাশে নভোচারী পাঠানোর অভিযান।
৫ জুন বোয়িং স্টারলাইনার সুনিতা ইউলিয়ামস ও ব্যারি ইউলমোরকে নিয়ে মহাকাশে যাত্রা শুরু করেছিল। যাত্রা শুরুর আগেই মহাকাশযানটিতে সামান্য কিছু ত্রুটি ধরে পড়ে। যদিও সেটি যে এত বড় আকার নেবে তা ভাবতে পারেননি NASA ও বোয়িং এর প্রযুক্তিবিদেরা। পরে মহাকাশযানটি লিক করে হিলিয়াম গ্যাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। যদিও পৃথিবীর মাটি ও মহাকাশে থেকে মেরামতের চেষ্টা চালাচ্ছে NASA ও বোয়িং সংস্থা। মহাকাশযানটিকে কোনও যাত্রী ছাড়ায় পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হতে পারে।
তবে সুনিতা ইউলিয়ামস ও ব্যারি ইউলমোর সম্পূর্ণ নিরাপদেই রয়েছেন বলে জানিয়েছে NASA। তাঁরা মহাকাশ স্টেশনের অন্য মহাকাশচারীদের সঙ্গেই অবস্থান করছেন। তাঁদের আগামী বছর ফেব্রুয়ারি নাগাদ স্পেসএক্স মহাকাশযানে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। ততদিন তাঁরা দুজনেই বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। এর মাঝে দুবার তাঁরা মহাকাশে হাঁটতেও পারেন। বর্তমানে সুনিতা উইলিয়ামসের বয়স ৫৮ ও ব্যারি উইলমোর এর বয়স ৬১ বছর।
তবে এটি প্রথমবার নয়। এর আগেও একাধিকবার মহাকাশচারীরা মহাকাশে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ মহাকাশচারী ফ্রাঙ্ক রুবিও রাশিয়ান মহাকাশযান সয়ুজ ক্যাপসুলে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন মহাকাশে। পৃথিবীর নিম্ন কক্ষে তার অবস্থান করার কথা ছিল ছয় মাস। কিন্তু মহাকাশযানে কুল্যান্ট লিক হওয়ায় তাঁকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাটাতে হয়েছিল ৩৭১ দিন।