AI যার সম্পূর্ণ নাম Artificial Intelligence। সোজা বাংলায় যাকে বলা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। অধিকাংশ প্রযুক্তিবিদের ধারণা, বর্তমান যুগকে যদি AI এর যুগের সূচনা বলা হয়, মোটেও ভুল কিছু বলা হবে না। কারণ খুবই কম সময়ে প্রযুক্তিগত যে কোনও কাজই এখন AI এর মাধ্যমে করা সম্ভব। কি না হচ্ছে এই AI এর ব্যবহারে?

প্রায় ২৫ বছর আগেও মানুষ জানত না AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আসলে কী। পৃথিবী জুড়ে তখন সবে কম্পিউটার আর মোবাইল ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। মানুষ নিজের বুদ্ধিমত্তাকে ছেড়ে একটু একটু করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। স্পষ্টভাবেই তখন প্রযুক্তিবিদরা বুঝতে পেরেছিলেন, যুগের হাওয়া কোন দিকে বইছে।
আর এর ঠিক ২৫ বছরের মধ্যেই আমূল বদলে গিয়েছে পৃথিবী। কোণে কোণে পৌঁছে গিয়েছে কম্পিউটার আর মোবাইল। এখন এই যন্ত্র দুটিকে বাদ রেখে কোনও কিছুই আর প্রায় করা সম্ভব নয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে মানুষ।
AI যার সম্পূর্ণ নাম Artificial Intelligence। সোজা বাংলায় যাকে বলা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। অধিকাংশ প্রযুক্তিবিদের ধারণা, বর্তমান যুগকে যদি AI এর যুগের সূচনা বলা হয়, মোটেও ভুল কিছু বলা হবে না। কারণ খুবই কম সময়ে প্রযুক্তিগত যে কোনও কাজই এখন AI এর মাধ্যমে করা সম্ভব। কি না হচ্ছে এই AI এর ব্যবহারে? অপরাধী খোঁজা, টাইপিং-এ সঠিক শব্দ নির্বাচন, উচ্চারণের মাধ্যমেই টাইপিং, নিজে উপস্থিত না থেকেও সঠিক উত্তর প্রেরণ, রোগ নির্ণয়, স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালানো, আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া, অচেনা স্থান খুঁজে বের করা – এসবই AI এর মাধ্যমে অতি নিখুঁতভাবে সম্ভব হচ্ছে এখন।
মানুষের আত্মনির্ভর থেকে ক্রমশ এই প্রযুক্তি নির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্যই AI এরও উন্নতি ঘটছে দ্রুতগতিতে। বলা বাহুল্য, প্রতি দেড় মাসে এই গতি পৌঁছে যাচ্ছে পূর্বের দ্বিগুণ হারে।
তবে কী ভবিষ্যতে মানুষের চেয়েও এগিয়ে যাবে কম্পিউটার? কম্পিউটারই কী তবে ভবিষ্যতে মানুষের পরিচালক হয়ে উঠবে? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে এখন। হয়তো না, ‘মানুষই মিশে যাবে ভবিষ্যৎ কম্পিউটারের সঙ্গে’। অন্তত এমনটাই মনে করছেন কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তিবিদ রে কার্জউইল। ২০০৫ সাল নাগাদ তিনি ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির হালচাল নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন। যার নাম দিয়েছিলেন দি সিঙ্গুলারিটি ইজ নিয়ার। অর্থাৎ সিঙ্গুলারিটি কাছাকাছি। যে সময়ে তিনি বইটি লিখেছিলেন, AI সম্পর্কে কোনও ধারণায় ছিল না সাধারণ মানুষের। তবে আশ্চর্যজনকভাবে বইটিতে প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি যা যা উল্লেখ করেছিলেন, তার অধিকাংশই মিলে গিয়েছে বর্তমানে। বইটিতে তার অন্যতম উল্লেখ ছিল, ২০২৯ সালের মধ্যে মানুষের বুদ্ধিমত্তার সমপর্যায়ে পৌঁছে যাবে কম্পিউটার। আশ্চর্য হলেও সত্যি, এখন প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে কম্পিউটার প্রযুক্তি।
এবার এই বইটিরই আর একটি সংস্করণ প্রকাশ করতে চলেছেন রে কার্জউইল। বইটির নাম দিয়েছেন দি সিঙ্গুলারিটি ইজ নিয়ারার। অর্থাৎ সিঙ্গুলারিটি আরও কাছাকাছি। এই বইটিতে তিনি AI কে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়ে বলেছেন, ২০৪৫ সালের মধ্যেই কম্পিউটারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে মানুষের বুদ্ধিমত্তা। কারণ সেসময়ে প্রযুক্তির উন্নতিসাধন এতটাই ঘটতে চলেছে কম্পিউটারের সঙ্গেই মানুষকে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে মানুষ যা যা করতে পারবে, AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তার প্রায় সবই করে ফেলতে পারবে।
তবে কী প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের লড়াইয়ের সম্ভাবনা থাকবে? এই ব্যাপারে তিনি উল্লেখ করেছেন, মানুষের সঙ্গে AI এর দ্বন্দ্ব কখনওই হবে না। ভবিষ্যতে মানুষ ও AI পাশাপাশি না থাকলেও মানুষের মধ্যেই থাকবে AI।