হেপারিন আসলে একটি অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট। রক্তনালীতে যাতে রক্ত জমাট না বাঁধে, তার জন্য এটিকে বিশেষ সময়ে প্রয়োগ করা হয়। হেপারিন রক্তকে পাতলা করতেও সাহায্য করে। এটি সহজলভ্য ও বেশ সস্তা। WHO এর তালিকাভুক্ত একটি জরুরী ওষুধও এই হেপারিন।

বর্ষা মরশুমে সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি অতি সাধারণ একটি ঘটনা। বিশেষ করে আফ্রিকা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে এই সময়টিতে সাপেরা অতি বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। শীত মরশুমে সাপেদের প্রায় দেখায় যায় না। তখন তারা শীতঘুমে চলে যায়। গ্রীষ্মের প্রখরতাও সাপেদের পক্ষে খুব একটা উপযুক্ত পরিবেশ নয়। তাই বর্ষা ঋতুতেই বেশি উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
WHO এর একটি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, প্রতি বছর গড়ে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ সাপ দ্বারা আক্রান্ত হয়। তার মধ্যে গড়ে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে বিষাক্ত সাপের কামড়ে। সবচেয়ে বেশি এই ধরণের সমস্যা দেখা দেয় আফ্রিকা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে। কারণ এই সমস্ত দেশগুলিতেই সাপের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি।
এই সময় অ্যান্টিভেনমের প্রয়োজন পড়ে। অ্যান্টিভেনম বিশেষ কয়েক প্রজাতির বিষাক্ত সাপের বিষকে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করতে সক্ষম। অনেক সময় বিশেষ কারণে কোনও কোনও স্থানে অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য হয় না। তখন রোগীর চিকিৎসা পেতেও অনেকটা দেরি হয়ে যায়। এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে সহজলভ্য হেপারিন ব্যবহার করা যেতে পারে, বলে দাবি করছেন একদল বিজ্ঞানীরা।
ওই দলটিতে রয়েছে ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও কোস্টারিকার একাধিক বিজ্ঞানী। তারা ইতিমধ্যেই ইঁদুরের উপর হেপারিন প্রয়োগ করেছেন এবং সফলতাও পেয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব শীঘ্রই মানুষের উপর এই ধরণের পরীক্ষা করা হবে।
হেপারিন আসলে একটি অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট। রক্তনালীতে যাতে রক্ত জমাট না বাঁধে, তার জন্য এটিকে বিশেষ সময়ে প্রয়োগ করা হয়। হেপারিন রক্তকে পাতলা করতেও সাহায্য করে। এটি সহজলভ্য ও বেশ সস্তা। WHO এর তালিকাভুক্ত একটি জরুরী ওষুধও এই হেপারিন।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কোবরা জাতীয় সাপেদের কামড়ে অ্যান্টিভেনম ব্যবহার করে রোগীকে বিপদ মুক্ত করার পরেও অনেক সময় রোগীরা নারকোসিসের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যায় রোগীর সাপে কাটা অংশের আশেপাশের টিস্যু মরে যায় ও চামড়া কালো হয়ে যায়। কিন্তু হেপারিন ব্যবহারে এই ধরণের সমস্যা থেকে প্রায় মুক্ত হওয়া সম্ভব। এতে বিষের তীব্রতা কমে যায় এবং প্রাণহানির হারও কমার সম্ভাবনা থাকে।
যদিও এই নিয়ে এখনও চলছে গবেষণা। সম্প্রতি ইঁদুরের উপর এই ধরণের পরীক্ষা চালিয়ে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। খুব শীঘ্রই মানুষের উপর পরীক্ষা চালানো হবে।