সারাবেলা ধরে এই কাজ চলতে থাকে অবিরত। প্রথমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই কাজে হাত দিয়ে শুরু করেন। পরবর্তীতে ওনার পর কর্মরত বিশেষ ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ এই কাজ শুরু করেন। এরপর শুরু হয় শ্রীনিকেতন এবং এর সংলগ্ন জমির চাষবাস।
প্রতিবছরই ‘২২শে শ্রাবণ’ দিনটিকে বিশেষভাবে বেছে নেওয়া হয় বিশ্বভারতী তে। রবি ঠাকুরের স্মৃতিতেই এই আয়োজন। কেন না বর্ষার শুরু হয় বর্ষা মঙ্গলের হাত ধরেই, সঙ্গে থাকে ‘হলকর্ষণ’ ও ‘বৃক্ষরোপণ’ কর্মসূচি। এই বিশেষ দিনটির দিকেই চেয়ে থাকেন প্রায় সকলেই, বিশেষ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রী এবং সেই সঙ্গে কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়াও অংশগ্রহণ করেন অগণিত সাধারণ মানুষে। এবার ফিরে আসা যাক এই হলকর্ষণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির বিস্তারে –
হলকর্ষণ
হলকর্ষণ কর্মসূচি তথা শ্রীনিকেতন অংশে গৃহীত উৎসব। কেন না কবিগুরু কর্মসংস্থান স্থাপনের জন্য বেছে নিয়েছিলেন এই শ্রীনিকতনকেই। বিভিন্ন বিভাগগুলিও এই সমাজের সাথে জড়িত। তা হোক, জমির কাজে আবার কখনও সমাজের বুকে। তাইতো বর্ষার সঙ্গেই এই মেলবন্ধন। প্রকৃতির সময় সীমার মতোই এই হলকর্ষণ তথা এই সময়ে জমির হাল দেওয়া প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। জমির সঙ্গে এবং একান্ত এই জমির সাহায্যকারী প্রাণীর সঙ্গেও।
সারাবেলা ধরে এই কাজ চলতে থাকে অবিরত। প্রথমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই কাজে হাত দিয়ে শুরু করেন। পরবর্তীতে ওনার পর কর্মরত বিশেষ ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ এই কাজ শুরু করেন। এরপর শুরু হয় শ্রীনিকেতন এবং এর সংলগ্ন জমির চাষবাস।
বৃক্ষরোপণ
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি প্রতি ঋতুতেই আবহমান। তবে বর্ষার সঙ্গেই এর আপোষ মেলে অনেকখানি। তাই বর্ষার সৌন্দর্যে এই উৎসব পালন করা হয় বিশ্বভারতী সংলগ্ন বাংলাদেশ ভবন প্রাঙ্গণে। কেন না, প্রাণীর ভাল থাকার সঙ্গে গাছপালারও বেঁচে থাকা সমান অধিকার রয়েছে। বলা যায়, ‘তারা বাঁচলে বাঁচব আমরা, বাঁচবে গোটা বিশ্ব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য এই প্রকৃতির সৌন্দর্য বজায় রাখা। কেন না, চোখ মেলে দেখলেই বোঝা যাবে শান্তিনিকেতন এবং শ্রীনিকেতনের সবুজ প্রাণখোলা অবয়ব যেখানে নেই, কৃত্রিম আশ্বাস শুধুই প্রকৃতির মাঝে নেওয়া যাবে বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস। যদিও এই প্রকৃতির তালে সবুজ এখন গ্ৰাসিত। কিন্তু চেষ্টা বৃথা যাবে কেন। চেষ্টা অবিরত চলবে থাকবে। তবেই সবুজ প্রকৃতিতে আসবে সামঞ্জস্য।