বর্তমানে ক্যানসার সমগ্র বিশ্ব জুড়েই একটি মারাত্মক মারণ রোগে পরিণত হয়েছে। এই রোগ নিয়ে গবেষণাও থেমে নেই। যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিকিৎসা পদ্ধতিরও ঘটছে উত্তরোত্তর উন্নতি। নতুন এই পদ্ধতিতে হয়তো আগামীতে যুক্ত হতে পারে মৌমাছি। অন্তত এমনটাই জানাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। তাঁদের দাবি, মৌমাছি তার ঘ্রাণশক্তির জোরে শনাক্ত করতে পারে ফুসফুস ক্যানসার রোগীকে।

বাংলায় একটা কথা এখন বেশ প্রচলিত, ‘ক্যানসার এর কোনও অ্যানসার নেই’। অর্থাৎ ক্যানসার এ আক্রান্ত রোগীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুব কমই থাকে। কারণ এই মারণ কর্কট রোগের এখনও পর্যন্ত কোনও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ ধরা পড়লে, তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়ে না। তাই ক্যানসার এ আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর হার এখন অনেক বেশি।
বর্তমানে ক্যানসার সমগ্র বিশ্ব জুড়েই একটি মারাত্মক মারণ রোগে পরিণত হয়েছে। এই রোগ নিয়ে গবেষণাও থেমে নেই। যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিকিৎসা পদ্ধতিরও ঘটছে উত্তরোত্তর উন্নতি। নতুন এই পদ্ধতিতে হয়তো আগামীতে যুক্ত হতে পারে মৌমাছি। অন্তত এমনটাই জানাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। তাঁদের দাবি, মৌমাছি তার ঘ্রাণশক্তির জোরে শনাক্ত করতে পারে ফুসফুস ক্যানসার রোগীকে। তাঁদের এই গবেষণা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বায়োসেন্সর এন্ড বায়োইলেকট্রনিক্স জার্নালে।
এমনিতেই মৌমাছি সহ বিভিন্ন পতঙ্গের ঘ্রাণশক্তি অন্য প্রাণীদের তুলনায় বহু গুন তীক্ষ্ণ। ঘ্রাণশক্তিকে কাজে লাগিয়েই তারা তাদের নিত্য কর্মগুলি সম্পন্ন করে থাকে। বায়োসেন্সর এন্ড বায়োইলেকট্রনিক্স জার্নাল থেকে জানা যাচ্ছে, গবেষণার সময় গবেষকেরা মৌমাছির মস্তিস্কে ইলেকট্রড যুক্ত করেন। যার মাধ্যমে ওই মৌমাছির ভ্রমণরত অবস্থায় গ্রহণ করা বিভিন্ন বস্তুর ঘ্রাণ রেকর্ড করা হয়। দেখা যায় মৌমাছিরা ঘ্রাণ গ্রহণের সময় আলাদা আলাদা নিউরন ব্যবহার করে। তারা সুস্থ মানুষের নিঃশ্বাসের গন্ধ আর ফুসফুস ক্যানসার এ আক্রান্ত মানুষের নিঃশ্বাসের গন্ধ আলাদা করে চিনে নিতে পারছে। গবেষকদের দাবি, তাঁদের এই আবিস্কার ক্যানসার চিকিৎসার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
ক্যানসার আসলে কী? প্রায় প্রতি মুহূর্তে প্রাণীদের কোশ নির্দিষ্ট সময় অন্তর মারা যায়। তখন ওই স্থানে নতুন সম সংখ্যক কোশ (বা সামান্য কিছু বেশি)-এর জন্ম হয়। কিন্তু নতুন কোশের জন্ম যদি মারা যাওয়া কোশের সংখ্যার তুলনায় অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়, তখন ওই স্থানে নতুন মাংসপিণ্ড গঠিত হয়। তখন তাকে বলা হয় টিউমার। এই টিউমার বিনাইন হতে পারে আবার ম্যালিগন্যান্ট-ও হতে পারে। এই ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকেই বলা হয় ক্যানসার।
ঠিক একইভাবে ফুসফুসেও অনিয়ন্ত্রিতভাবে কোশ বৃদ্ধি ঘটে ফুসফুস ক্যানসার এর সূচনা করে। প্রায় ৮৫ শতাংশ ফুসফুস ক্যানসার ধূমপায়ীদের মধ্যে হয়ে থাকে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে প্রতি বছর সমগ্র বিশ্ব জুড়ে প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ ফুসফুস ক্যানসার এর কারণে মারা যায়।