Sunday, February 16, 2025

দুবরাজপুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের সারদা কাত্যায়নী পুজোর অপূর্ব ইতিহাস

- Advertisement -

১০ ডিসেম্বরে পুজো সমাপ্তির পর প্রতিবছরের মতো আয়োজিত হবে অন্নকূট উৎসব। যাতে হাজার হাজার মানুষ প্রসাদ গ্রহণ করেন। মেলা ও সারদা কাত্যায়নী পুজো উপলক্ষে বীরভূম জেলাসহ কলকাতা ও অন্যান্য জেলার মানুষ ইতিমধ্যেই সমবেত হয়েছেন আশ্রম প্রাঙ্গণে। স্থানীয় মানুষ সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন এই কয়েকটি আনন্দমুখর দিনের জন্য।

সারদা কাত্যায়নী

প্রতি বছরের মতো এবারেও বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে স্বামী সত্যানন্দদেবের প্রতিষ্ঠিত শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে সারদা কাত্যায়নী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ রবিবার মহাসপ্তমী পুজোর মধ্য দিয়ে শ্রীশ্রী সারদা কাত্যায়নী পুজোর সূচনা হল। সারদা দেবীকে কাত্যায়নী রূপে পুজো করা হয়। এই পুজো চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

পুজো উপলক্ষে প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে ধর্মসভাসহ নানা অনুষ্ঠান। দুবরাজপুর আশ্রমের শীর্ষ সেবক সত্য শিবানন্দ মহারাজ জানালেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন স্বামী সত্যপ্রকাশানন্দ মহারাজ, স্বামী সম্ময়ানানন্দ মহারাজ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্রী গৌতম চন্দ্র প্রমূখ। শুধু মেলার আয়োজন নয়, স্বামী বিবেকানন্দের সেবার আদর্শে আশ্রম নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছে। দুবরাজপুর আশ্রমের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছে সারদা বিদ্যাপীঠ (বয়েজ), সারদেশ্বরী বিদ্যামন্দির ফর গার্লস, সারদা বুনিয়াদি বিদ্যালয়, সত্যানন্দ ইনস্টিটিউশন (ইংরেজি মাধ্যম), সত্যানন্দ শিশু বিদ্যানিকেতন, নামক খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। এছাড়াও ১৯৬৬ সালে স্বামী ভূপানন্দ মহারাজ প্রতিষ্ঠা করেন অভেদানন্দ সেবা মঙ্গল হাসপাতাল যা সর্বসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও চক্ষু চিকিৎসার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব পরিষেবা প্রদান করে চলেছে। স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ আরও জানান একটি বৃদ্ধাবাস, অতিথি নিবাস, ও পন্ডিতপুরে একটি এগ্রিকালচার ফার্ম, নির্মাণের কর্মসূচি তাদের আগামী পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে।

১২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে অভেদানন্দ মেলা। এবারে অভেদানন্দ মেলা ৬৪ বছরে পা দিল। মেলা উপলক্ষে প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে কীর্তন গান, কবিগান, বাউল গান, নাটক, যাত্রাপালাসহ নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। সারদা কাত্যায়নী পুজো ও অভেদানন্দ মেলা জেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। যার প্রচলন করেছিলেন স্বয়ং স্বামী সত্যানন্দ মহারাজ।

- Advertisement -

১০ ডিসেম্বরে পুজো সমাপ্তির পর প্রতিবছরের মতো আয়োজিত হবে অন্নকূট উৎসব। যাতে হাজার হাজার মানুষ প্রসাদ গ্রহণ করেন। মেলা ও সারদা কাত্যায়নী পুজো উপলক্ষে বীরভূম জেলাসহ কলকাতা ও অন্যান্য জেলার মানুষ ইতিমধ্যেই সমবেত হয়েছেন আশ্রম প্রাঙ্গণে। স্থানীয় মানুষ সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন এই কয়েকটি আনন্দমুখর দিনের জন্য।

জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা পুজো ও মেলার সুষ্ঠু আয়োজনের জন্য যথোপযুক্ত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। পুজো ও মেলা উপলক্ষে দুবরাজপুর শহরে অভূতপূর্ব উৎসাহ ও উদ্দীপনা সঞ্চার হয়। পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম মেলাগুলির অন্যতম হল অভেদানন্দ মেলা। গ্রামীণ লোকসংস্কৃতির প্রসারে এই আশ্রম একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বর্তমানে মোবাইল আসক্ত মানুষকে নতুন করে গ্রামীণ সংস্কৃতিচর্চায় ঋদ্ধ করতে এই মেলার গুরুত্ব অপরিসীম।

- Advertisement -

এই রকম আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সাম্প্রতিক খবর