ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম দিকে এই ব্যাটের কোনও মাপ দণ্ড ছিল না। ছিল না এর কোনও সুনির্দিষ্ট আকারও। দেখা গিয়েছে প্রথম দিকে বেসবল খেলার কাঠদণ্ডের মতো ছিল ব্যাটের আকার। পরে দিন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এর আকারেরও ঘটছে একাধিকবার পরিবর্তন। বর্তমানে সরু হাতল যুক্ত একটি ফ্লাট কাঠদণ্ডকে ব্যাট হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
দর্শক সংখ্যার উপর নির্ভর করে ফুটবলের পরেই যে ক্রিকেট এর স্থান তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে ফুটবল যেমন একটি বহু প্রাচীন খেলা, ক্রিকেট তা নয়। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, সম্ভাব্য ষোড়শ শতাব্দীর একেবারে শেষ দিকে এই খেলার জন্ম হয়েছিল ইংল্যান্ডে। ক্রিকেট প্রথম খেলতে দেখা যায় দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের কেন্ট ও সাসেক্স অঞ্চলের মধ্যবর্তী জঙ্গলে বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে।
পরে এই খেলা বিভিন্ন উপায়ে ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর বিশ্বের যে প্রান্তে ইংরেজদের পদচিহ্ন পড়েছে, ক্রিকেট ও পৌঁছে গিয়েছে সেইসব অঞ্চলে। ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশ্ব জুড়ে। খেলার নিয়মেরও পরিবর্তন ঘটেছে বারংবার ও বিভিন্ন সময়ে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক সংস্থা ICC ক্রিকেট কে নিয়ন্ত্রণ করে।
যাইহোক, এবার ফিরে আসা যাক ক্রিকেট এর পরিচিত ও অপরিহার্য অংশ ব্যাটের কাছে। বোলারের হাত থেকে ছুটে আসা বলকে আঘাত করার জন্য বিশেষভাবে নির্মিত যে কাঠের দণ্ডটিকে ব্যবহার করা হয়, তাকেই বলা হয় ব্যাট।
ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম দিকে এই ব্যাটের কোনও মাপ দণ্ড ছিল না। ছিল না এর কোনও সুনির্দিষ্ট আকারও। দেখা গিয়েছে প্রথম দিকে বেসবল খেলার কাঠদণ্ডের মতো ছিল ব্যাটের আকার। পরে দিন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এর আকারেরও ঘটছে একাধিকবার পরিবর্তন। বর্তমানে সরু হাতল যুক্ত একটি ফ্লাট কাঠদণ্ডকে ব্যাট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই ব্যাটেরও নির্দিষ্ট মাপ রয়েছে। হাতল সহ লম্বায় হতে হবে ৩৮ ইঞ্চি ও প্রস্থে হবে ৪.২৫ ইঞ্চি।
তবে যেমন তেমন কোনও কাঠ দিয়ে ক্রিকেট এর এই ব্যাট তৈরি করা হয় না। একমাত্র সাদা উইলো গাছের কাঠ দিয়েই ব্যাট তৈরি করা হয়। উইলো গাছ একমাত্র উত্তর গোলার্ধের শীত প্রধান কিছুটা স্যাঁতসেঁতে অঞ্চলে জন্মায়। প্রায় ৩০০ প্রকারের উইলো গাছ রয়েছে পৃথিবীতে। তার মধ্যে ব্যাট তৈরির জন্য শুধুমাত্র সাদা উইলো গাছকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ এই গাছের কাঠ হালকা অথচ অত্যন্ত শক্ত হয়ে থাকে। সহজে নষ্ট ও ক্ষয় হয় না। তাছাড়া আঘাত প্রতিরোধীও হয়ে থাকে।