পৃথিবীতে একমাত্র পাখি এমন একটি প্রাণী (ব্যতিক্রম বাদুড় শ্রেণী) যারা বাতাসকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়াতে পারে। তবে সব পাখি যে আকাশে ওড়ে, এমনটি অবশ্য নয়। এমনও কিছু পাখি রয়েছে, যাদের ডানা থাকা সত্ত্বেও আকাশে উড়তে পারে না বা ওড়ার চেষ্টা করলেও তা খুব বেশি সময়ের জন্য নয়।
যাইহোক, আজ এখানে এমন ৫টি পাখি সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে, যাদের ডানা ওড়ার জন্য ব্যবহার করলেও তার রঙ যে কাউকেই অবাক করে দেবে।
১. ময়ূর

ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে সুন্দর পাখি যে ময়ূর, তাতে আর দ্বিমত থাকার কোনও কারণ নেই। আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখলেই পুরুষ ময়ূর স্ত্রী ময়ূরকে আকৃষ্ট করার জন্য যখন পেখম তুলে নাচের ভঙ্গিতে দাঁড়ায়, তখন যে কেউ সম্মোহনের মতো তার দিকে চেয়ে থাকতে বাধ্য। ময়ূর সারা পৃথিবীতে ২ প্রজাতির রয়েছে, এশিয়ান ও আফ্রিকান। এশিয়ান প্রজাতির আবার দুটি ভাগ রয়েছে, নীল ও সবুজ। তবে সাদা ময়ূরও রয়েছে। নীল ময়ূর ভারতের জাতীয় পাখি।
২. স্কারলেট ম্যাকাউ

দক্ষিণ আমেরিকার আর্দ্র বনাঞ্চলের স্থানীয় পাখি স্কারলেট ম্যাকাউ। অনেকটা ভারতীয় টিয়া পাখি –র মতোই দেখতে। তবে আকারে বেশ অনেকটাই বড়। পালকের রঙও যথেষ্ট আকর্ষণীয়। পিঠের অংশে সজ্জিত রয়েছে লাল, নীল, হলুদ আর সবুজ রঙের পালক। স্কারলেট ম্যাকাউ পাখি –র অন্যতম বৈশিষ্ট্য, এরা যে কোনও শব্দকে হুমহু নকল করতে পারে।
৩. গোল্ডেন ফিজ্যান্ট
সবচেয়ে বেশি দেখা যায় চিনের পশ্চিম দিকের ঘন জঙ্গলে। অদ্ভুত সুন্দর এই পাখি –টির মাথায় রয়েছে ক্রেস্টের মতো গোল্ডেন ফার্ন। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, এর সমস্ত শরীরে যেন কমলা, নীল খয়েরি রঙ দিয়ে তুলি বুলিয়ে এঁকে দিয়েছে কোনও শিল্পী।
৪. ব্লু জে
ঠিক যেন বঙ্গদেশের বুলবুলি পাখি। তবে সমস্ত শরীর জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে নীল, সাদা রঙ। সেই সঙ্গে মিশে রয়েছে অদ্ভুত সুন্দর কালো কালো ছোপ। এই পাখি যখন ডাকে, তখন ‘জে জে’ শব্দ বের হয় ওদের মুখ থেকে। উত্তর আমেরিকার বনাঞ্চলগুলিতে ব্লু জে’র দেখা মেলে সবচেয়ে বেশি।
৫. আটলান্টিক পাফিন
উত্তর-পূর্বের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আটলান্টিক পাফিন পাখি –র দেখা পাওয়া যায়। দেখতে অনেকটাই হাঁসের মতো। তবে এরা সমুদ্রের জলে যেমন সাঁতার কাটতে পারে, তেমনি বাতাসে ভর করে উড়তেও পারে। কালো পিঠ ও সাদা বুকের সঙ্গে ঠোঁট সংলগ্ন মুখের কারুকার্য বড্ড অদ্ভুত।