MOLNUPIRAVIR ও PAXLOVID এই দুটি মেডিসিনই ৫ দিনের কোর্স হতে চলেছে। করোনা চিকিৎসায় প্রতিদিন দুটি করে ওষুধ খেতে হতে পারে রোগীকে। MOLNUPIRAVIR-কে আগেই এফডিএ জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে। মার্ক তাদের এই মেডিসিনের দাম রেখেছে ৭০ মার্কিন ডলার প্রতিটি। তবে PAXLOVID-কে এখনও এফডিএ জরুরি মাধ্যমে ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি।

অনলাইন পেপার : এর আগে গত অক্টোবরে MOLNUPIRAVIR (মলনুপিরাভির) নামে করোনার একটি খাওয়ার ওষুধের নাম জানা গিয়েছিল। যেটি তৈরি করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নির্মাণ সংস্থা মার্ক। সংস্থাটি দাবি করেছিল, তাদের এই অ্যান্টিভাইরাল মেডিসিন করোনা সংক্রমণকে রুখে দিতে সক্ষম। যদিও সংস্থার দাবি অনুযায়ী, তাদের এই মেডিসিন প্রথমে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হচ্ছিল। পরে তারা প্রমাণ পেয়েছে করোনা চিকিৎসাতেও এই মেডিসিন আশানুরূপ কার্যকর। গত ৪ নভেম্বর তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন বা এফডিএ এই মেডিসিনটি জরুরি মাধ্যমে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
এবার এই রকমই আর একটি খাওয়ার ওষুধ বা অ্যান্টিভাইরাল মেডিসিন বাজারে আনতে চলেছে ওষুধ নির্মাণ সংস্থা ফাইজার। তারা দাবি করছে, তাদের তৈরি এই মেডিসিন করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ৮৯ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে সক্ষম। নতুন তৈরি করা এই মেডিসিনের নাম তারা রেখেছে প্যাক্সলোভিড বা PAXLOVID।
বিবিসি সংবাদ মাধ্যম সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ফাইজার ১২১৯ জনের উপর তাদের এই মেডিসিনের কার্যকারিতার পরীক্ষা চালায়। ওই রোগীদের প্রত্যেকেই ছিলেন অধিক ঝুঁকিতে থাকা করোনা রোগী। এক্ষেত্রে তারা রোগীদের দুটি অংশে ভাগ করে ট্রায়াল করে। একটি অংশকে দেওয়া হয় PAXLOVID। অপর অংশকে দেওয়া হয় প্লেসবো। এই প্লেসবো আসলে করোনার কোনও ওষুধই নয়।
ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে PAXLOVID প্রয়োগ করা রোগীদের মাত্র ১ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। এবং এইসব রোগীদের কেউই শেষ পর্যন্ত মারা যায়নি। তবে প্লেসবো প্রয়োগ করা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে ৬.৭ শতাংশকে। তাদের মধ্যে মারা গিয়েছে ১০ জন।
জানা যাচ্ছে, MOLNUPIRAVIR ও PAXLOVID এই দুটি মেডিসিনই ৫ দিনের কোর্স হতে চলেছে। করোনা চিকিৎসায় প্রতিদিন দুটি করে ওষুধ খেতে হতে পারে রোগীকে। MOLNUPIRAVIR-কে আগেই এফডিএ জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে। মার্ক তাদের এই মেডিসিনের দাম রেখেছে ৭০ মার্কিন ডলার প্রতিটি। তবে PAXLOVID-কে এখনও এফডিএ জরুরি মাধ্যমে ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি। তবে ফাইজার ইতিমধ্যেই প্রয়োগের জন্য আবেদন জানিয়েছে।
সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২৫ কোটিরও বেশি মানুষ। তার মধ্যে মারা গিয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষেরও বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। সেদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৪ কোটি ৭৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মারা গিয়েছে প্রায় ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার জন।