এদিকে আশঙ্কা সত্যি করে গত সপ্তাহের প্রথম দিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে Mocha। এটি প্রথমে উত্তর-পশ্চিম দিক বরাবর কিছুটা এগিয়ে পরে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যায়। তারপর আজ বিকাল নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আঘাত হানে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূলীয় অঞ্চলে। আঘাত হানার সময় এর কেন্দ্রের গড় গতিবেগ ছিল প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।

অনলাইন পেপার : এতদিন দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঝড়-বৃষ্টি আটকে রেখেছিল অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় Mocha। এবার সেই পথ খুলতে চলেছে। আর সেই সঙ্গে স্বস্তিও ফিরে পেতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গবাসী।
গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গরমে নাজেহাল অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের। আকাশে মেঘের ছিটেফোঁটাও কোথাও নেই। এরই সঙ্গে মধ্য ভারত থেকে ধেয়ে আসছে গরম শুষ্ক বাতাস, যা অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আবহাওয়াবিদরা এর জন্য দায়ী করেছেন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় Mocha কে। তাদের দাবি, ঘূর্ণিঝড় Mocha স্থলভূমি থেকে জলীয়বাষ্প টেনে নিয়ে শক্তিবৃদ্ধি করছে। তাই Mocha পেরিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় কোনও পরিবর্তন আসবে না।
এদিকে আশঙ্কা সত্যি করে গত সপ্তাহের প্রথম দিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে Mocha। এটি প্রথমে উত্তর-পশ্চিম দিক বরাবর কিছুটা এগিয়ে পরে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যায়। তারপর আজ বিকাল নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আঘাত হানে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূলীয় অঞ্চলে। আঘাত হানার সময় এর কেন্দ্রের গড় গতিবেগ ছিল প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
ঘূর্ণিঝড় Mocha র তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই দ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চলের ৩৪০টি বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ১১ জন। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তবে Mocha র পর দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে যে স্বস্তির বৃষ্টি নামবে একথা প্রায় জোর দিয়েই বলছেন আবহাওয়াবিদরা। পশ্চিমবঙ্গে Mocha আসার আশঙ্কা থাকলেও তা প্রায় ধার ঘেঁষেই বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু স্থলভূমি থেকে জলীয়বাষ্প টেনে নেওয়ায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় জুড়ে অস্বস্তিকর গরমে হাঁসফাঁস করছে দক্ষিণবঙ্গবাসী। আবহাওয়াবিদদের দাবি, এবার Mocha পেরিয়ে যাওয়ায় আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। পুনরায় সাগর থেকে স্থলভাগের দিকে ছুটে আসবে জলীয়বাষ্প। আর সেই সঙ্গে এই সপ্তাহ থেকেই তৈরি হবে ঝড়-বৃষ্টির পরিবেশ। স্বস্তি দেবে দক্ষিণবঙ্গবাসীদের।