ঘূর্ণিঝড় যে সৃষ্টি হবে, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে উইন্ডি ডট কম। উইন্ডি ডট কম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১০-১১ মে নাগাদ ঘূর্ণিঝড় Mocha তৈরি হয়ে সেটি প্রথমে বঙ্গোপসাগরে উত্তর-পশ্চিম বরাবর অগ্রসর হবে। তারপর ১২ মে নাগাদ দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব বরাবর এগিয়ে যাবে। উইন্ডি ডট কমের চিত্র অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত তার অভিমুখ মায়ানমার বা বাংলাদেশের দিকেই রয়েছে।

অনলাইন পেপার : ২০২০ সালের দুঃস্বপ্ন কি আবার ফিরতে চলেছে? আশঙ্কায় দিন গুনছেন দক্ষিণবঙ্গবাসী। সেবার আমফানের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছিল গোটা দক্ষিণবঙ্গ। আর এবার কি তবে একই ভাবে আঘাত হানবে Mocha? যদিও এখনও সুস্পষ্টভাবে কোনও উত্তর দিতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা। কারণ ঘূর্ণিঝড় Mocha এখনও তার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরেই মে মাস জুড়ে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে চলেছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। এবছরের মে মাসেও তার উল্টোটি ঘটেনি। আশঙ্কা সত্যি করে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের পরিবেশ তৈরি হতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপও। যেটি খুব শীঘ্রই সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই সুস্পষ্ট নিম্নচাপটিই আগামী ১০ মে বা ১১ মে নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে Mocha (মোকা)। নামটি দিয়েছে ইয়েমেন। এককালে ইয়েমেনেরই একটি প্রাচীন সমুদ্র বন্দরের নাম ছিল Mocha।
ঘূর্ণিঝড় যে সৃষ্টি হবে, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে উইন্ডি ডট কম। উইন্ডি ডট কম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১০-১১ মে নাগাদ ঘূর্ণিঝড় Mocha তৈরি হয়ে সেটি প্রথমে বঙ্গোপসাগরে উত্তর-পশ্চিম বরাবর অগ্রসর হবে। তারপর ১২ মে নাগাদ দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব বরাবর এগিয়ে যাবে। উইন্ডি ডট কমের চিত্র অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত তার অভিমুখ মায়ানমার বা বাংলাদেশের দিকেই রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত Mocha কোন দিকে অগ্রসর হবে সে বিষয়ে আগাম কোনও কিছুই সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাইছেন না আবহাওয়া বিদরা। তবে তারা আশঙ্কা করছেন, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে Mocha মায়ানমার, বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশার যে কোনও সমুদ্র উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এবিষয়ে ইতিমধ্যে সতর্কও করে দিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে Mocha আসুক বা না আসুক, তার জেরে ইতিমধেই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে গিয়েছে। আবহাওয়া বিদরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়াতে স্থলভাগ থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প ছুটে যাচ্ছে সাগরের দিকে। ফলে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শুষ্ক বায়ু ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী কয়েকদিন তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে। অন্তত ১৩ মের আগে পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।