২৩ আগস্ট দিনটি অবশ্যই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ইসরোর খাতায়। এদিন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘড়ির কাটা মিলিয়ে বিকাল ৬টা ৪ মিনিটে Chandrayaan 3 এর ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটি স্পর্শ করে। যদিও সমগ্র প্রক্রিয়াটি ছিল ইসরোর কাছে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ চাঁদের অন্ধকারময় এই দক্ষিণ মেরুতে কখনওই সূর্যের আলো পৌঁছায় না।

অনলাইন ডেস্ক : অবশেষে ৪০ দিনের সফরে সাফল্য পেল ইসরো। Chandrayaan 3 পৌঁছে গেল চাঁদের মাটিতে। আর সেই সঙ্গে ইতিহাসও তৈরি করে ফেলল ভারত। রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদের বুকে ভারত নিজের পদচিহ্ন অঙ্কন করতে পারল। অপরদিকে ভারতই প্রথম দেশ যে কিনা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে Chandrayaan 3 কে সফলভাবে নামাতে পেরেছে।
Chandrayaan 3 এর যাত্রা শুরু হয় গত জুলাইয়ের ১৪ তারিখ। সেদিন শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে যাত্রা করে ভারতের এই মহাকাশযান। সমগ্র দেশ জুড়ে শুরু হয় টানটান উত্তেজনা। কারণ ২০১৯ সালের Chandrayaan 2 এর ব্যর্থতার কথা এখনও সতেজ রয়েছে দেশবাসীর কাছে। তাই চার বছর পরের এই চন্দ্রাভিযান কিছুটা চ্যালেঞ্জিং ছিল ইসরোর কাছে। যদিও সব বাধা পেরিয়ে Chandrayaan 3 এখন চাঁদের মাটিতে।
২৩ আগস্ট দিনটি অবশ্যই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ইসরোর খাতায়। এদিন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘড়ির কাটা মিলিয়ে বিকাল ৬টা ৪ মিনিটে Chandrayaan 3 এর ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটি স্পর্শ করে। যদিও সমগ্র প্রক্রিয়াটি ছিল ইসরোর কাছে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ চাঁদের অন্ধকারময় এই দক্ষিণ মেরুতে কখনওই সূর্যের আলো পৌঁছায় না। তার উপর এখানকার ভূমি অত্যন্ত রুক্ষ। সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে ছোট-বড় পাথর আর গর্ত। প্রায় ৩ দিন ধরে Chandrayaan 3 এর ল্যান্ডার হরাইজেন্টাল ভেলেসিটি ক্যামেরা (এলএইচভিসি) ওই অঞ্চলে অপেক্ষাকৃত মসৃণ ভূমির অনুসন্ধান চালিয়ে গিয়েছে। যার ছবি মুহুর্মুহু তুলে পাঠিয়েছে ইসরোর দফতরে।
এর আগে রাশিয়া ৪৭ বছর পর পুনরায় চাঁদের উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছিল Luna 25। কিন্তু সেটি দুর্ভাগ্যজনকভাবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করার পূর্বেই ভেঙে পড়ে। এর পর Chandrayaan 3 এর দিকেই নজর পড়ে সমগ্র পৃথিবীর। ভারত এক্ষেত্রে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করেছিল সফর চলাকালীন। ফলে সাফল্য আসে শেষ পর্যন্ত।
রোভার প্রজ্ঞানকে পেটে নিয়ে Chandrayaan 3 এর ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটি স্পর্শ করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে সমগ্র দেশ। উল্লাস করতে দেখা যায় চন্দ্রাভিযানের সঙ্গে যুক্ত সমগ্র জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছেন। তিনিও ভার্চ্যুয়ালি অভিনন্দন জানান ইসরোকে।
Chandrayaan 3 এর বিক্রমের ওজন প্রায় ১৭০০ কেজি আর রোভার প্রজ্ঞানের ওজন মাত্র ২৬ কেজি। এই অভিযানে মোট খরচের পরিমাণ ৬১৫ কোটি টাকা। যা এখনকার দিনের যে কোনও একটি হলিউড মুভি নির্মাণের খরচের থেকেও কম।