তবে নীলের খুব কাছাকাছি যেতে পারে Blue Quandong নামের এক প্রজাতির বিরল ফল। যার রঙ একেবারেই গাঢ় নীল। সময়ে সময়ে ফলটি বিশেষ পর্যায়ে নীলচে বেগুনীও ধারণ করতে পারে। তাই প্রকৃতি প্রেমীরা এই Blue Quandong কেই প্রকৃতির একমাত্র সম্পূর্ণ নীল রঙের ফল হিসেবে বিবেচনা করেছেন।

প্রকৃতিতে সবুজ, লাল, হলুদ, বেগুনী বা কালো রঙের ফলের কোনও অভাব প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু যদি জানতে চাওয়া হয়, নীল রঙে ফল কোনটি? অনেকেই হয়তো উত্তর দেবেন, ব্লুবেরি, জুনিপার বেরি বা কনকর্ড আঙুর এর উদাহরণ টেনে। কারণ এগুলিকে দেখতে প্রায় নীল রঙের মতোই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এগুলির কোনওটিকেই সম্পূর্ণ নীল রঙের ফলের মধ্যে ফেলা যায় না। কারণ ভাল করে লক্ষ করলেই বুঝতে পারা যাবে, এগুলির রঙ আসলে নীলচে বেগুনী হয়ে থাকে।
তবে কি প্রকৃতিতে সম্পূর্ণ নীল রঙের কোনও ফল নেই? বিজ্ঞানীদের কথা মতো প্রকৃতিতে প্রকৃত নীল রঙে ফল বলতে আসলে কিছুই নেই। তবে নীলের খুব কাছাকাছি যেতে পারে Blue Quandong নামের এক প্রজাতির বিরল ফল। যার রঙ একেবারেই গাঢ় নীল। সময়ে সময়ে ফলটি বিশেষ পর্যায়ে নীলচে বেগুনীও ধারণ করতে পারে। তাই প্রকৃতি প্রেমীরা এই Blue Quandong কেই প্রকৃতির একমাত্র সম্পূর্ণ নীল রঙের ফল হিসেবে বিবেচনা করেছেন।
Blue Quandong সত্যিই প্রকৃতির এক বিরল ধরণের নীল রঙের ফল। এটিকে একমাত্র পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া নিউগিনি ও কিছু প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ অঞ্চলে। কারণ বিশেষ ধরণের মাটি ও উষ্ণ-আর্দ্র রেইনফরেস্ট এর পরিবেশ Blue Quandong গাছের জন্য প্রয়োজন। যা একমাত্র ওই অঞ্চলেই পাওয়া যায়।
Blue Quandong এর বৈজ্ঞানিক নাম রাখা হয়েছে Elaeocarpaceae। ফলটি দেখতে অনেকটা ডুমুরের মতো। তাই স্থানীয়দের কাছে এটি Blue fig নামেও বিশেষভাবে পরিচিত। ফলটিকে কাঁচা বা অপরিপক্ক অবস্থায় খাওয়া যায় না। এই অবস্থায় এর স্বাদ হয়ে থাকে তেঁতো। তবে পাকলে স্থানীয়রা Blue Quandong কে জ্যাম, জেলি বা আঁচার তৈরি করে খেয়ে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীদের কাছে এর বিশেষ কদর রয়েছে।
Blue Quandong এর গাছ চিরসবুজ ও এর উচ্চতা হয়ে থাকে সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ মিটার। শীতের পর যখন বসন্ত নেমে আসে, সমস্ত গাছ জুড়ে তখন সাদা রঙের ফুল ঝুলতে থাকে। Blue Quandong এর এই আশ্চর্য নীল রঙের জন্যে দায়ী এতে থাকা বিশেষ ধরণের Structural রঙ, যা কোনও রঞ্জক পদার্থ নয়।


