তাপমাত্রা : হঠাৎ করে পাঁচ দিনেই কমে গেল ৩০ ডিগ্রী

Advertisement

কিন্তু এবছর এমনটি কেন ঘটল। বিশেষজ্ঞরা এই নিম্ন তাপমাত্রা র জন্য দায়ী করছেন লা নিনা কে। লা নিনা আসলে এল নিনোর ঠিক বিপরীত। এল নিনো যেখানে পরিবেশের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়, লা নিনা সেখানে তাপমাত্রা কমিয়ে দিতে থাকে। লা নিনা একটি স্প্যানিশ শব্দ। যার অর্থ ছোট্ট বালিকা। এই সময় দক্ষিণ মেরুর দিক থেকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে আসে। এর গতিপথ দক্ষিণ থেকে উত্তর। সমুদ্রের স্রোত ও সেই সঙ্গে পরিবেশের তাপমাত্রা হয়ে ওঠে শীতল।


Image by Herbert Brant from Pixabay

অনলাইন পেপার : উত্তর গোলার্ধে শীত পেরিয়ে এখন সবে বসন্তের বাতাস বইছে চারিদিকে। দক্ষিণ গোলার্ধে অবশ্য এর ঠিক উল্টোটি ঘটছে। সেখানে গ্রীষ্ম পেরিয়ে শরতের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আরও কয়েক মাস পার হলেই রীতিমতো হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করবে সেখানে। তবে মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানেই যে হঠাৎ শীতের পরিবেশ তৈরি হবে, এমনটি বোধহয় ভাবতেও পারেনি কেউ। কিন্তু এমনটি ঘটেছে।

দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের আর্জেন্টিনা একটি শীত প্রধান দেশ। দেশটির অবশ্য সর্বাপেক্ষা খ্যাতি ফুটবলের জন্য। মারাদোনা বা মেসির দৌলতে এখন এই দেশ সম্পর্কে কমবেশি প্রায় সকলেরই আগ্রহ অনেক। তবে এখন সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছে আবহাওয়া। রাজধানী বুয়েন্স আইরিসের তাপমাত্রা গত ১২ ফেব্রুয়ারি যেখানে ছিল প্রায় ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসের আশেপাশে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সেখানকার তাপমাত্রা হঠাৎ করেই ৭ ডিগ্রীর আশেপাশে নেমে আসতে দেখা গেল। এই ঘটনায় আবহাওয়া বিদরাও রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছেন।

শীতপ্রধান দেশ হওয়া স্বত্বেও গত ৭ দিন আগেও আর্জেন্টিনার তাপমাত্রা রীতিমতো দাবদাহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এ বছর গ্রীষ্মের মরশুমে ৮টি দাবদাহের মুখোমুখি হতে হয়েছে দেশটিকে। বিশেষ করে দেশটির মধ্যাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল।

কিন্তু হঠাৎ করেই পারদ পতন শুরু হয় ১২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে। এক ধাক্কায় মাত্র ৫ দিনেই তাপমাত্রা নেমে আসে ৭.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছে। আর্জেন্টিনার আবহাওয়া বিদরা জানাচ্ছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে এমন নিম্ন তাপমাত্রা বিগত ৭০ বছরেও ঘটেনি। ১৯৫১ সালের পর এমনটি পুনরায় ঘটতে দেখা গেল। তবে তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, ১৯১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

কিন্তু এবছর এমনটি কেন ঘটল। বিশেষজ্ঞরা এই নিম্ন তাপমাত্রা র জন্য দায়ী করছেন লা নিনা কে। লা নিনা আসলে এল নিনোর ঠিক বিপরীত। এল নিনো যেখানে পরিবেশের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়, লা নিনা সেখানে তাপমাত্রা কমিয়ে দিতে থাকে। লা নিনা একটি স্প্যানিশ শব্দ। যার অর্থ ছোট্ট বালিকা। এই সময় দক্ষিণ মেরুর দিক থেকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে আসে। এর গতিপথ দক্ষিণ থেকে উত্তর। সমুদ্রের স্রোত ও সেই সঙ্গে পরিবেশের তাপমাত্রা হয়ে ওঠে শীতল। এর প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটে আর পূর্ব উপকূল বরাবর হয়ে ওঠে শুষ্ক।

Advertisement
Previous articleশান্তিনিকেতন আশ্রমের প্রথম দিকের শিক্ষক ছিলেন জগদানন্দ রায়
Next articleভেষজ আবির তৈরিতে সামিল হয়েছেন গ্রামের গৃহবধূরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here