কী ঘটেছিল অস্কার মঞ্চে? এবছর হলিউড অভিনেতা উইল স্মিথ অস্কার মঞ্চের সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। সঞ্চালক ক্রিস রক স্মিথ-কে মঞ্চে ডাকার সময়ে কিছুটা ঠাট্টার সুরে তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী জেডা প্রিংকেট এর মাথার চুল না থাকা (অ্যালোপেসিয়া) নিয়ে কটূক্তি করেন। স্বাভাবিকভাবেই তা মেনে নিতে পারেননি মি. স্মিথ। সবার সম্মুখেই কষিয়ে থাপ্পড় মারেন সঞ্চালকের মুখে। যদিও পরে তিনি জনসম্মুখেই ক্ষমা চেয়ে নেন ক্রিস রকের কাছে।

অনলাইন ডেস্ক : মাথার চুল মানুষের অলঙ্কার। আর সেই সাথে অহংকারও। কথায় বলে, ‘যার মাথায় চুল নেই, তার কোনও কিছু থেকেও যেন কিছুই নেই’। যে কোনও স্থানে তিনি হেনস্থার শিকার হতে পারেন। ঠাট্টা-মশকরার পাত্র হয়ে উঠতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে তাকে কোনওভাবেই দোষ দেওয়া যায় না। যার মাথার চুল একবার ঝরতে শুরু করে, তা কোনওভাবেই রোখা সম্ভব নয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় মাথার চুল ঝরে যাওয়াও এক ধরণের রোগ। আর এই রোগের নাম ‘অ্যালোপেসিয়া’। বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বা এনএইচএস জানাচ্ছে, মানুষের মাথার চুল যখন স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক হারে ঝরতে শুরু করে ও সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট অনুপাতে যদি নতুন চুল না গজায়, তাহলে সেই সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যালোপেসিয়া বলা হয়।
রোগটি এতদিন আলোচনার বিষয় হিসাবে উপস্থাপিত ছিল না। কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া অস্কার অনুষ্ঠানে উইল স্মিথ যে অশোভনীয় আচরণ দেখিয়েছেন, তারপরই অ্যালোপেসিয়া রীতিমতো চর্চার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। সমগ্র বিশ্বেই এখন চর্চা চলছে অ্যালোপেসিয়া-কে ঘিরে।
কী ঘটেছিল অস্কার মঞ্চে? এবছর হলিউড অভিনেতা উইল স্মিথ অস্কার মঞ্চের সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। সঞ্চালক ক্রিস রক স্মিথ-কে মঞ্চে ডাকার সময়ে কিছুটা ঠাট্টার সুরে তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী জেডা প্রিংকেট এর মাথার চুল না থাকা নিয়ে কটূক্তি করেন। স্বাভাবিকভাবেই তা মেনে নিতে পারেননি মি. স্মিথ। সবার সম্মুখেই কষিয়ে থাপ্পড় মারেন সঞ্চালকের মুখে। যদিও পরে তিনি জনসম্মুখেই ক্ষমা চেয়ে নেন ক্রিস রকের কাছে।
বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের ওই রিপোর্ট থেকে আরও জানা যাচ্ছে, এনএইচএস এর হিসাবে প্রতিদিন ৫০-১০০টি চুল ঝরে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর বেশি ধারাবাহিকভাবে ঝরে পরা ও সেই অনুপাতে নতুন চুল না গজানোকে অস্বাভাবিক মনে করা হবে। বিশ্বে এই মুহূর্তে ১৫ কোটিরও বেশি নারী-পুরুষ অ্যালোপেসিয়া-র শিকার হয়েছেন। পূর্ণ বয়স্কদের পাশাপাশি অল্প বয়সীদেরও অ্যালোপেসিয়া হতে পারে।
অ্যালোপেসিয়া-ই আক্রান্ত হওয়ার কারণ কী? এক্ষেত্রে কারণ অনেকগুলিই হতে পারে বলে মনে করছে এনএইচএস। তার মধ্যে অন্যতম মানসিক চাপ, দীর্ঘ মেয়াদি রোগ, ক্যানসার, আয়রন হ্রাস, খুশকি, প্রোটিনের অভাব, ভিটামিন বি ও ডি কমে যাওয়া প্রভৃতি। এমনকি কোনও কারণ ছাড়াও চুল ঝরে পড়তে পারে।
এই রোগের চিকিৎসা কী হতে পারে? এনএইচএস অবশ্য এর কোনও স্থায়ী সমাধানের কথা বলতে পারেনি। আসলে যিনি একবার অ্যালোপেসিয়া-ই আক্রান্ত হয়েছেন বা যার মাথা থেকে একবার চুল ঝরতে শুরু করে, তার চুল ঝরে পড়া আটকানো অত্যন্ত মুশকিল। অর্থাৎ এই রোগের নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। তবে কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের মতে, প্রাথমিক পর্যায়ে চুল ঝরে যাওয়ার কারণ শনাক্ত করা সম্ভব হলে, এই বিষয়ে কিছুটা চিকিৎসা করা সম্ভব।