রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত দীর্ঘায়ত হলে জ্বালানি সরবরাহের মূল্য আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ফলে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দুর্বল দেশগুলির অর্থনৈতিক অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে উঠতে পারে। সংকট তৈরি হতে পারে জ্বালানি ব্যবস্থায়। যদিও এর বিকল্প সরবরাহের সূত্র খুঁজছে সমগ্র বিশ্ব। এব্যাপারে আরব দেশগুলির উপর বাড়তি চাপ পড়তে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে।

অনলাইন পেপার : এক সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে চলতি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের। কিন্তু যুদ্ধ বিরতির এখনও কোনও লক্ষণ নজরে পড়ছে না। এরই মধ্যে বার কয়েক যুদ্ধ বিরতির আলোচনা চললেও উভয় পক্ষ সমাধান সূত্রের খোঁজ তেমনভাবে মেলাতে পারেনি। বরং ধারণা করা হচ্ছে, চলতি যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়ত হতে পারে। আর এমনটি হলে, গোটা বিশ্ব জুড়ে বড় আকারের অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, বলে মনে করছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদ।
ইতিমধ্যে তারও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। কারণ বিশ্ব বাজারে তেল ও গ্যাসের মূল্য এখন ঊর্ধ্বমুখী। আগামীতে আরও মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আর তেমনটি হলে বিশ্ব বাজারের অর্থনৈতিক করিডর ভেঙে পড়তে পারে। এমনিতেই খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের এক সুবিশাল স্থান দখল করে রেখেছে রাশিয়া। তেল ও গ্যাস উৎপাদনে যথাক্রমে তৃতীয় ও প্রথম স্থান অধিকার করে রয়েছে দেশটি। ২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ১১.৬৬ শতাংশ অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে রাশিয়া।
বিশ্ব বাজারে তেল ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির এই কারণ কী? একথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই, এর প্রধান কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন চলতি সংঘাত। পশ্চিমা বিশ্ব ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দিক থেকে রাশিয়ার উপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তার মধ্যে রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত মালামাল অন্যতম। এই মালালামের মধ্যেই রয়েছে তেল ও গ্যাস।
সংঘাত শুরুর পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা বিশ্ব যে রাশিয়ার উপর যে কোনও ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, এর একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়ে ছিল। তাই বাকি বিশ্ব জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে পারে, এমন ইঙ্গিতেই দাম বৃদ্ধি ঘটেছে বলেই জানাচ্ছে, বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের একটি সূত্রে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত দীর্ঘায়ত হলে জ্বালানি সরবরাহের মূল্য আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ফলে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দুর্বল দেশগুলির অর্থনৈতিক অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে উঠতে পারে। সংকট তৈরি হতে পারে জ্বালানি ব্যবস্থায়। যদিও এর বিকল্প সরবরাহের সূত্র খুঁজছে সমগ্র বিশ্ব। এব্যাপারে আরব দেশগুলির উপর বাড়তি চাপ পড়তে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে।
চলতি সমস্যায় ভারতীয় রুপির মূল্যও ডলারের তুলনায় বেশ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। ৭ এপ্রিল ডলার প্রতি রুপির মূল্য ছিল ৭৬.৯২ রুপি। এটাই এযাবৎ কালের সবচেয়ে বেশি।