Lata Mangeshkar : অপূরণীয় ক্ষতি সঙ্গীত জগতে, অন্যলোকে সুর সম্রাজ্ঞী

Advertisement

ছোটবেলা থেকেই Lata Mangeshkar ছিলেন সঙ্গীত প্রেমী ও সুকণ্ঠী। ১৯৪২ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মারাঠি গানের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গীত জগতে পদার্পণ ঘটে। হিন্দি সিনেমার জগতে তাঁর আগমন ১৯৪৬ সালে। ওই বছর তিনি ‘আপ কি সেবা মে’ সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। এরপর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়ে গিয়েছেন এই সুর সম্রাজ্ঞী। Lata Mangeshkar ৩৬টি ভাষায় ৩০ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।


Lata Mangeshkar : অপূরণীয় ক্ষতি সঙ্গীত জগতে, অন্যলোকে সুর সম্রাজ্ঞী

জনদর্পণ ডেস্ক : ২৭ দিনের দীর্ঘ টানাপড়েনের পর অবশেষে স্তব্ধ হল গানের স্বরলিপি। চলে গেলেন Lata Mangeshkar। এ ক্ষতি অপূরণীয়। ভারতীয় সঙ্গীত জগতের ‘জীবন্ত সরস্বতী’-কে আর কখনওই কোনও মঞ্চে দেখা যাবে না। তাঁর কোকিল কণ্ঠকে আর রেকর্ড করা যাবে না। লক্ষ লক্ষ সঙ্গীত শিল্পীর আইডল তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্দ সকলেই।

গত ১১ জানুয়ারি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন Lata Mangeshkar। পরে ৩০ জানুয়ারি তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তিনি নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। ভেন্টিলেশন সাপোর্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ওই সময়। কিন্তু ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়া শুরু হয়। অবশেষে সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা ১২ মিনিটে Lata Mangeshkar চলে যান না ফেরার দেশে। স্তব্ধ হয়ে যায় সমগ্র ভারত। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

Lata Mangeshkar এর প্রয়াণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই দুই দিন অর্নমিত থাকবে দেশের জাতীয় পতাকা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও তাঁর প্রয়াণে ৭ ফেব্রুয়ারি সরকারিভাবে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছে।

২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯২৯ সালে Lata Mangeshkar মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ও মা যথাক্রমে দীননাথ মঙ্গেশকর ও শিবন্তী মঙ্গেশকর। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। অপর ভাই-বোনেরা হলেন আশা ভোঁসলে, ঊষা মঙ্গেশকর, মিনা মঙ্গেশকর ও হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর।

ছোটবেলা থেকেই Lata Mangeshkar ছিলেন সঙ্গীত প্রেমী ও সুকণ্ঠী। ১৯৪২ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মারাঠি গানের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গীত জগতে পদার্পণ ঘটে। হিন্দি সিনেমার জগতে তাঁর আগমন ১৯৪৬ সালে। ওই বছর তিনি ‘আপ কি সেবা মে’ সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। এরপর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়ে গিয়েছেন এই সুর সম্রাজ্ঞী। Lata Mangeshkar ৩৬টি ভাষায় ৩০ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার মধ্যে বাংলা অন্যতম। বাংলা সিনেমাতেও অসংখ্য গান গেয়েছেন তিনি।

অসংখ্য পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন Lata Mangeshkar। পদ্মভূষণ (১৯৬৯), দাদা সাহেব ফালকে (১৯৮৯), মহারাষ্ট্রভূষণ (১৯৯৭), পদ্মবিভূষণ (১৯৯৯) পুরস্কার পেয়েছেন একে একে। ২০০১ সালে তাঁকে ভারতরত্ন-ও দেওয়া হয় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে।

Advertisement
Previous articleগাঁজা এখন বৈধ, এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে থাইল্যান্ডের ঘোষণা
Next articleমাহালী : কদর কম, তবু বাঁশ শিল্পকেই আঁকড়ে আছেন তাঁরা (ভিডিও সহ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here