বৃহত্তর মেকং অঞ্চল : পাওয়া গেল ২০০-রও বেশি নতুন প্রাণীর সন্ধান

Advertisement

ডব্লিউডব্লিউএফ জানিয়েছে, বৃহত্তর মেকং অঞ্চল যে বিভিন্ন জীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এই সমস্ত নতুন নতুন সন্ধান পাওয়া প্রাণীগুলি অত্যন্ত সঙ্গিন অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এদের অনেকগুলি আবার সন্ধান পাওয়ার আগেই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পথে বা ইতিমধ্যে বিলুপ্তও হয়ে গিয়েছে। এই বিলুপ্তির কারণ হিসাবে ডব্লিউডব্লিউএফ দায়ী করেছে, বন্যপ্রাণী নিয়ে অবৈধ ব্যবসা, বন্যপ্রাণীর বাসস্থান ভেঙে দেওয়া ও বিভিন্ন রোগের বিস্তারকে।


বৃহত্তর মেকং অঞ্চল : পাওয়া গেল ২০০-রও বেশি নতুন প্রাণীর সন্ধান
Mekong riverImage by Basile Morin from Pixabay

অনলাইন পেপার : প্রকৃতির সম্পূর্ণ রহস্য ভেদ করা আদৌ কখনও সম্ভব হবে কিনা এবিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারণ আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগেও মস্ত বড় পৃথিবীটা যতই ছোট হয়ে আসুক, তার রহস্য উন্মোচন এখনও ঢের বাকি। তা না হলে বছরে বছরে তার নতুন নতুন রহস্য কখনওই উদ্ঘাটন হত না। এই যেমন সম্প্রতি বৃহত্তর মেকং অঞ্চল-এ নতুন করে সন্ধান পাওয়া গেল ২০০-রও বেশি নতুন প্রজাতির প্রাণীর। যার মধ্যে সরীসৃপ, ব্যাঙ, বাঁশের রস খেয়ে টিকে থাকা প্রাণী ছাড়াও রয়েছে এমন এক প্রজাতির বানর যার দেখা আগে কখনওই পাননি কোনও প্রাণীবিদ।

সামগ্রিকভাবে মেকং অঞ্চল বলতে বোঝানো হয়েছে মেকং নদীর মোহনায় প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়া ব-দ্বীপ অঞ্চলকে। মেকং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম প্রধান একটি নদী। দৈর্ঘ্যের দিক থেকে নদীটি রয়েছে বিশ্বে ১২তম অবস্থানে। মেকং-এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৩৫০ কিলোমিটার। তিব্বত মালভূমি থেকে জন্ম হয়ে মেকং যথাক্রমে চিন, মায়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আর বৃহত্তর মেকং অঞ্চল বলতে বোঝানো হয়েছে মায়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম নিয়ে গঠিত মেকং-এর অঞ্চল সমূহকে।

ডব্লিউডব্লিউএফ অর্থাৎ বিশ্ব বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ তহবিল আন্তর্জাতিক সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করে চলেছে। বিভিন্ন সময়ে তারা একাধিক বন্যপ্রাণীর রহস্য উন্মোচন করেছে। সম্প্রতি বৃহত্তর মেকং অঞ্চল-এ তারা ২২৪টি নতুন প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান পেয়েছে। এতদিন পর্যন্ত এই প্রাণীগুলি ছিল লোক নজরের বাইরে। যাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে কারোরই তেমন কোনও ধারণা ছিল না। যার মধ্যে রয়েছে সরীসৃপ, ব্যাঙ। রয়েছে শুধুমাত্র বাঁশের রস খেয়ে বেঁচে থাকার মতো প্রাণী।

এছাড়াও এই বৃহত্তর মেকং অঞ্চল-এ অদ্ভুত দর্শনের নতুন এক প্রজাতির বানরের সন্ধান তারা পেয়েছে, যাদের চোখের চতুর্দিকে রয়েছে সাদা চক্রের অবস্থান। সন্ধান পাওয়া এই নতুন প্রজাতির বানরের নাম তারা রেখেছে ‘ভৌতিক বানর’। যদিও এই বানর প্রজাতির আচরণ নিয়ে এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে ডব্লিউডব্লিউএফ।

ডব্লিউডব্লিউএফ জানিয়েছে, বৃহত্তর মেকং অঞ্চল যে বিভিন্ন জীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এই সমস্ত নতুন নতুন সন্ধান পাওয়া প্রাণীগুলি অত্যন্ত সঙ্গিন অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এদের অনেকগুলি আবার সন্ধান পাওয়ার আগেই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পথে বা ইতিমধ্যে বিলুপ্তও হয়ে গিয়েছে। এই বিলুপ্তির কারণ হিসাবে ডব্লিউডব্লিউএফ দায়ী করেছে, বন্যপ্রাণী নিয়ে অবৈধ ব্যবসা, বন্যপ্রাণীর বাসস্থান ভেঙে দেওয়া ও বিভিন্ন রোগের বিস্তারকে।

Advertisement
Previous articleদীর্ঘকালীন প্যারাসিটামল সেবন বাড়াতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি, দাবি গবেষকদের
Next articleভয়ঙ্কর খাদ্য সঙ্কট-এ রয়েছে আফ্রিকার ৩ দেশের কোটি মানুষ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here