ভবিষ্যতে কাগজের ব্যাগ বানিয়ে যুবক-যুবতীরা যেন স্বনির্ভর হতে পারেন, মূলত এটাই লক্ষ্য ওই সংস্থাটির। শুধু তাই নয়, তাঁদের বানানো কাগজের সামগ্রী তাঁরা যেন সঠিক মূল্যে বাজারজাত করতে পারে, সে ব্যাপারেও একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ওই সংস্থা। ট্রেনিং চলার প্রথম দিকে দক্ষ প্রশিক্ষক নিয়মিত কাগজের ব্যাগ বানানোর পদ্ধতিতে হাতে কলমে শেখাবেন প্রার্থীদের। প্রশিক্ষণ পাওয়ার শেষে প্রার্থীদের মূল্যায়ন হিসাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষায় যথাযথভাবে উর্ত্তীণ হলে মিলবে শংসাপত্র।

সুজয় ঘোষাল : প্ল্যাস্টিকজাত দ্রব্য পচনশীল নয় এবং তা পরিবেশের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। তাই বর্তমানে প্ল্যাস্টিকের বিকল্প হিসাবে জোর দেওয়া হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব দ্রব্য ব্যবহারে। এখানে উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে ‘কাগজ’। প্ল্যাস্টিকের ব্যাগের পরিবর্তে কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করা হলে তা সহজেই মাটিতে মিশে যেতে পারবে। কিন্তু পরিবেশ বান্ধব এই কাগজের ব্যাগের ব্যবহার হলেও এখন আর যথেচ্ছ নয় হাটে-বাজারে। তাই এই ব্যাগের জোগানও বেশ কম।
এবার এই কাগজের ব্যাগের জোগান বাজারে বাড়াতে এবং এর ব্যাপক প্রচলন করতে উদ্যোগী হয়েছে ‘রুরাল সেল্ফ এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ নামের একটি সংস্থা। সম্প্রতি তারই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে বীরভূম জেলার পাহাড়পুর গ্রামে। এখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কাগজের ব্যাগ, খাম ও ফাইল বানানোর উপর। এই বিশেষ প্রশিক্ষণ চলবে ১০ দিন ধরে। প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন ওই গ্রামের ১৮-৩৫ বছর বয়সী বেকার যুবক-যুবতীরা।
ভবিষ্যতে কাগজের ব্যাগ বানিয়ে যুবক-যুবতীরা যেন স্বনির্ভর হতে পারেন, মূলত এটাই লক্ষ্য ওই সংস্থাটির। শুধু তাই নয়, তাঁদের বানানো কাগজের সামগ্রী তাঁরা যেন সঠিক মূল্যে বাজারজাত করতে পারে, সে ব্যাপারেও একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ওই সংস্থা। ট্রেনিং চলার প্রথম দিকে দক্ষ প্রশিক্ষক নিয়মিত কাগজের ব্যাগ বানানোর পদ্ধতিতে হাতে কলমে শেখাবেন প্রার্থীদের। প্রশিক্ষণ পাওয়ার শেষে প্রার্থীদের মূল্যায়ন হিসাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষায় যথাযথভাবে উর্ত্তীণ হলে মিলবে শংসাপত্র।
পাহাড়পুর গ্রামের মনসাতলায় ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ চলবে আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রশিক্ষণের প্রথম দিন প্রার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল যথেষ্ট। তাঁদের আগ্রহও ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রশিক্ষণ শিবিরের প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রুরাল সেল্ফ এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের বীরভূম জেলার ডাইরেক্টর কাশীনাথ সাধু খাঁ এবং এই সংস্থার দু’জন অন্যতম সদস্য আমিত রায় ও দীপান্বিতা প্রামাণিক। কাশীনাথ সাধু খাঁ জানালেন, ‘স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে আজ এই প্রশিক্ষণ শুরু হল পাহাড়পুর গ্রামে। ১৮-৩৫ বছরের ছেলে-মেয়েরা যাতে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেই দিকে আমাদের সংস্থা লক্ষ্য রাখবে।’