Corona-র নতুন ভ্যারিয়েন্টটির প্রথম সন্ধান পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার গউতেং শহরে। গত ২৫ নভেম্বর এবিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন সেদেশের Corona বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিকভাবে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটির বিজ্ঞান সম্মত নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.১.৫২৯ (B.1.1.529)। তবে তার গ্রীক নাম এখনও দেওয়া হয়নি। খুব শীঘ্রই বিশেষজ্ঞরা তার নামকরণ করবেন। গউতেং শহরে এখনও পর্যন্ত ৭৭ জনের শরীরে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

অনলাইন পেপার : একের পর এক নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি করে চলেছে Corona। এর আগে Corona-র ভ্যারিয়েন্ট হিসাবে সামনে এসেছিল গামা, বেটা, ডেলটা। আর এবার আরও এক নতুন ভ্যারিয়েন্ট-এর সন্ধান পেলেন Corona বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিকভাবে এটি অন্যদের থেকে অনেকটাই আলাদা বলেই ধারণা করছেন তাঁরা। তাঁদের আরও ধারণা, Corona-র এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট আগের গুলির থেকে আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে।
Corona-র নতুন ভ্যারিয়েন্টটির প্রথম সন্ধান পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার গউতেং শহরে। গত ২৫ নভেম্বর এবিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন সেদেশের Corona বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিকভাবে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটির বিজ্ঞান সম্মত নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.১.৫২৯ (B.1.1.529)। তবে তার গ্রীক নাম এখনও দেওয়া হয়নি। খুব শীঘ্রই বিশেষজ্ঞরা তার নামকরণ করবেন।
গউতেং শহরে এখনও পর্যন্ত ৭৭ জনের শরীরে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টটি আরও কতটা ছড়াতে পেরেছে সেবিষয়ে অবশ্য এখনই কিছু জানা সম্ভব হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওই শহরের নতুন Corona রোগীদের প্রায় ৯০ শতাংশই এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট-এর শিকার।
দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও বি.১.১.৫২৯ পৌঁছে গিয়েছে বতসোয়ানা ও হংকং-এও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বতসোয়ানার ৪ জন এবং হংকং-এর ১ জন করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে প্রকৃত পক্ষে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট কতটা ছড়িয়ে পড়েছে তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। অনেক দেশ আবার ইতিমধ্যেই আফ্রিকার বেশ কিছু দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে Corona-র এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট? Corona-র প্রতিটি ভ্যারিয়েন্ট-এর সন্ধান পাওয়ার পরই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ব জুড়ে। এর আগে ‘বেটা’ বা ‘ডেলটা’-র সময়েও একই রকম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার নতুন করে উদ্বেগ ছড়াতে শুরু করেছে Corona-র সদ্য আবিষ্কৃত নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রায় তেমন কিছুই জানা সম্ভব হয়নি এই ভ্যারিয়েন্ট-এর ব্যাপারে।
তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন এটি Corona-র অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় অনেকটাই আলাদা এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। এর মিউটেশনও অন্যদের থেকে বেশি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেলটার ভ্যারিয়েন্ট মিউটেশন যেখানে ছিল মাত্র ২টি। নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটির মিউটেশন সেখানে অন্তত ১০টি। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, ‘বেটা’-র বিশেষত্ব ছিল, এটি ইমিউন পদ্ধতির ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে পারত। আর ‘ডেলটা’ ছিল অনেক বেশি সংক্রামক। সেক্ষেত্রে নতুন ভ্যারিয়েন্টটি এই দুটির ক্ষেত্রেই সমান কার্যকর। এখন বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বর্তমান ভ্যাকসিনগুলি Corona-র নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট-কে রুখতে সমর্থ হবে কি!