সবকিছু ঠিক থাকলে ‘মলনুপিরাভির’ হবে করোনার প্রথম অ্যান্টিভাইরাল মেডিসিন

Advertisement
মার্ক জানিয়েছে, তারা পরীক্ষার জন্য ৭৭৫ জন রোগীর উপর এই মেডিসিন প্রয়োগ করে। সেক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, মাত্র ৭.৩ শতাংশ রোগীকেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। বাকিদের ভর্তি করতে হয়নি। এছাড়াও এই মলনুপিরাভির গ্রহণ করা কোনও রোগীরই মৃত্যু ঘটেনি। তারা আরও জানিয়েছে, এই সফলতায় আশাবাদী হয়ে তাদের সংস্থা ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ১ কোটি মলনুপিরাভির তৈরি করতে পারে।
সবকিছু ঠিক থাকলে ‘মলনুপিরাভির’ হবে করোনার প্রথম অ্যান্টিভাইরাল মেডিসিন
Symbolic Image – Image by PixxlTeufel from Pixabay

অনলাইন পেপার : বিশ্ব জুড়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত আবিস্কৃত বেশ কতকগুলি ভ্যাকসিনের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। এব্যাপারে কো-ভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড সহ আরও কতকগুলি ভ্যাকসিনকে মানব দেহে প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ (WHO)। ভারতে ওই দুই ভ্যাকসিনের পাশাপাশি রাশিয়ান ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি-ও অনুমোদন পেয়েছে। যদিও এই ভ্যাকসিনটিকে এখনও অনুমোদন দেয়নি হু।

তবে করোনা রুখতে এখনও পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট খাওয়ার কোনও অ্যান্টিভাইরাল মেডিসিন বাজারে আসেনি। চিকিৎসার জন্য খাওয়ার যে মেডিসিনগুলিকে চিকিৎসকেরা ব্যবহার করছেন, সেগুলি সবই প্রায় বিভিন্ন ইনফ্লুয়েঞ্জা জনিত রোগের মেডিসিন। সবকিছু ঠিক থাকলে এবার করোনার নির্দিষ্ট প্রথম কোনও খাওয়ার অ্যান্টিভাইরাল মেডিসিন হাতে পেতে পারেন চিকিৎসকেরা। অন্তত এমনটিই দাবি করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নির্মাণ সংস্থা মার্ক। তারা ইতিমধ্যেই ‘মলনুপিরাভির’ নামে একটি অ্যান্টিভাইরাল মেডিসিন নিয়ে কাজ শুরু করেছে। যেটি নাকি করোনা সংক্রমণ রুখতে সক্ষম।

যদিও এই মেডিসিনটিকে করোনা চিকিৎসার জন্য এখনও ছাড়পত্র দেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন বা এফডিএ। মার্ক আর কিছুদিনের মধ্যেই এফডিএ-র কাছে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদন চেয়ে আবেদন করবে। এফডিএ আবেদনে সাড়া দিলে এটিই হতে পারে করোনার প্রথম কোনও খাওয়ার অ্যান্টিভাইরাল মেডিসিন।

বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, আসলে মলনুপিরাভির তৈরি করা হয়েছিল ইনফ্লুয়েঞ্জা চিকিৎসার ওষুধ হিসাবে। কিন্তু মার্ক প্রমাণ পেয়েছে, এই অ্যান্টিভাইরাল মেডিসিনটি করোনা চিকিৎসাতেও ব্যবহার করা যাচ্ছে। এবং চিকিৎসায় আশানুরূপ সাড়াও মিলেছে।

মার্ক জানিয়েছে, তারা পরীক্ষার জন্য ৭৭৫ জন রোগীর উপর এই মেডিসিন প্রয়োগ করে। সেক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, মাত্র ৭.৩ শতাংশ রোগীকেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। বাকিদের ভর্তি করতে হয়নি। এছাড়াও এই মলনুপিরাভির গ্রহণ করা কোনও রোগীরই মৃত্যু ঘটেনি। তারা আরও জানিয়েছে, এই সফলতায় আশাবাদী হয়ে তাদের সংস্থা ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ১ কোটি মলনুপিরাভির তৈরি করতে পারে।

এদিকে বিশ্ব জুড়ে করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ ৪৫ হাজার অতিক্রমণ করে গিয়েছে। মৃত্যু ঘটেছে ৪৮ লক্ষ ৪৯ হাজার মানুষের। ভারতে করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৯ লক্ষেরও বেশি। মৃত্যু ঘটেছে সাড়ে ৪ লক্ষেরও বেশি ভারতীয়ের।

Advertisement
Previous articleদীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান : ম্যালেরিয়ার প্রথম ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিল WHO
Next articleমাত্র ৯ বছরেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ১৪ শতাংশ প্রবালপ্রাচীর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here