জালে উঠে এল নীল রঙের বিরল গলদা চিংড়ি

Advertisement
গলদা চিংড়ি চিংড়ি প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বড়ো সামুদ্রিক প্রাণী। অতীতের ভ্যাল্যাংগিয়ান যুগ ও ক্রেটাসিয়াস যুগের মধ্যবর্তী কোনও সময়ে এদের আবির্ভাব ঘটেছিল। মূলত জলের তলদেশের অন্ধকার পরিবেশে এরা পরিচলন করতে পছন্দ করে। তবে সময়ে সময়ে এরা সমুদ্রের উপকূলবর্তী অংশেও উঠে আসে। সেসময় মৎস্যজীবীরা এদের ধরতে পারেন। সাধারণত পূর্ণ বয়স্ক এক একটি গলদা চিংড়ির আকার হতে পারে ১০-২০ ইঞ্চি (কোনও কোনওটির আকার তার থেকেও বেশি হতে পারে)।
উঠে এল নীল রঙের বিরল গলদা চিংড়ি

অনলাইন পেপার : সুবিশাল এই বিশ্বে বিস্ময়ের কোনও শেষ নেই। প্রকৃতি রঙ, রস, রূপে যুগ যুগ ধরে ক্রমশ সাজিয়েই চলেছে পৃথিবীকে। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ কোনও প্রকারের জীবই প্রায় বাদ যায় না এই সাজানোর পর্ব থেকে। তবে সচরাচর প্রাকৃতিক বিষয়গুলি যদি কোনও কারণে ব্যতিক্রমী ঢঙে ধরা দেয়, তাকে বিরল অথবা বিরলের থেকেও বিরল বলে গণ্য করা হয়।

সম্প্রতি এই রকমই একটি বিরল প্রাণীর সন্ধান পেলেন স্কটল্যান্ডের একজন মৎস্যজীবী। সমুদ্রের উপকূলীয় অঞ্চলে মৎস্য শিকারের সময় ৪৭ বছর বয়সী রিকি গ্রিনহউই-র জালে ধরা পড়ল একটি উজ্জ্বল নীল রঙের গলদা চিংড়ি। প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চিংড়িটি গলদার আলাদা কোনও প্রজাতি নয়, অন্য সাধারণ সামুদ্রিক গলদারই একটি অংশ। তবে এর রঙ উজ্জ্বল নীল। এমনিতেই সাধারণ গলদা চিংড়ির রঙ হয়ে থাকে লাল, ছাই রঙা অথবা সবজে কালো। নীল চিংড়ি অতি বিরল। ধারণা করা হয়, কয়েক লক্ষ গলদা চিংড়ির মধ্যে হয়তো একটির রঙ হয়ে থাকে এই রকম উজ্জ্বল নীল।

গলদা চিংড়ি চিংড়ি প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বড়ো সামুদ্রিক প্রাণী। অতীতের ভ্যাল্যাংগিয়ান যুগ ও ক্রেটাসিয়াস যুগের মধ্যবর্তী কোনও সময়ে এদের আবির্ভাব ঘটেছিল। মূলত জলের তলদেশের অন্ধকার পরিবেশে এরা পরিচলন করতে পছন্দ করে। তবে সময়ে সময়ে এরা সমুদ্রের উপকূলবর্তী অংশেও উঠে আসে। সেসময় মৎস্যজীবীরা এদের ধরতে পারেন। সাধারণত পূর্ণ বয়স্ক এক একটি গলদা চিংড়ির আকার হতে পারে ১০-২০ ইঞ্চি (কোনও কোনওটির আকার তার থেকেও বেশি হতে পারে)। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড়ো গলদা চিংড়িটি মিলেছে কানাডার নোভা স্কটিয়া অঞ্চলে। যার ওজন ছিল ২০.১৫ কেজি। পরে এটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও জায়গা করে নিয়েছিল।

তবে গলদা চিংড়ির সবচেয়ে বড়ো বিশেষত্বটি হল, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এরা প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে না। বরং প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যার অন্যতম কারণ এদের শরীরে টেলোমেরেজ নামক এক ধরণের এনজাইমের উপস্থিতি।

তবে যাইহোক, রিকি গ্রিনহউই কিন্তু বিরল ওই উজ্জ্বল নীল গলদা চিংড়িটিকে বিক্রয় করতে চান না। তিনি এটি স্কটল্যান্ডের ম্যাকডাফ অ্যাকোয়ারিয়ামে প্রদর্শনীর জন্য পাঠাতে চান। অ্যাকোয়ারিয়াম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতিমধ্যে তিনি যোগাযোগও করেছেন। আপাতত একটি বড়ো পাত্রে এয়ার পাম্পের সাহায্যে সমুদ্রের জলে রেখেছেন চিংড়িটি।

Advertisement
Previous articleবীরভূমের রামনগরে ‘দিশা’-র উদ্যোগে গড়ে উঠল গ্রামীণ গ্রন্থাগার
Next articleসাবধান! আসছে সৌর ঝড়, তীব্র বিঘ্ন ঘটতে পারে ইন্টারনেট পরিষেবায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here