ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী চিত্রকলা তুলে ধরতে বিশেষ কর্মশালা সৃজনীতে

Advertisement
আদিবাসী বিশেষ করে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের জনজীবনের সঙ্গে এই চিত্রকলা যেন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে। তাদের চিত্রকলায় একদিকে যেমন প্রকৃতির স্বচ্ছ রূপ ফুটে ওঠে, অপরদিকে তেমনি তাদেরই সংস্কৃতির বাস্তবতা উঠে আসে। নিজস্ব কৃষ্টি ও অনুপম দক্ষতায় এই চিত্রগুলি আদিবাসী লোকসংস্কৃতিতে এক আলাদা মাত্রা যোগ করে। তাদের এই চিত্রে ফুটে ওঠে একাধিক পরব, শিকার উৎসব ও সামাজিক মেলামেশার স্বাভাবিক জনজীবনের প্রতিকৃতি। – ছবি : জনদর্পণ প্রতিনিধি
ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী চিত্রকলা তুলে ধরতে বিশেষ কর্মশালা সৃজনীতে

বিজয় ঘোষাল : শিল্পীর দৃষ্টিকোণ থেকে আগত ভাবধারা ফুটে ওঠে তার চিত্রকলায়। এখানে কল্পনার সঙ্গে মিশে থাকে বাস্তবের সূক্ষ্ম প্রতিবিম্ব। আর তাই শিল্পীর চিত্রকলা যেন জীবন্ত হয়ে সম্মোহিত করে দর্শককে। দর্শকের দৃষ্টিকোণে সেই চিত্রকলা সরল বা কঠিন যায় হোক, তার পরতে পরতে মিশে থাকে সৃষ্টির অদ্ভুত সমাহার।

আদিবাসী বিশেষ করে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের জনজীবনের সঙ্গে এই চিত্রকলা যেন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে। তাদের চিত্রকলায় একদিকে যেমন প্রকৃতির স্বচ্ছ রূপ ফুটে ওঠে, অপরদিকে তেমনি তাদেরই সংস্কৃতির বাস্তবতা উঠে আসে। নিজস্ব কৃষ্টি ও অনুপম দক্ষতায় এই চিত্রগুলি আদিবাসী লোকসংস্কৃতিতে এক আলাদা মাত্রা যোগ করে। তাদের এই চিত্রে ফুটে ওঠে একাধিক পরব, শিকার উৎসব ও সামাজিক মেলামেশার স্বাভাবিক জনজীবনের প্রতিকৃতি। তাদের অধিকাংশ এই চিত্রকলা দেওয়াল চিত্রে রূপ পেয়েছে যুগ যুগ ধরে।

এই আদিবাসী দেওয়াল চিত্রকে শান্তিনিকেতনে আগত পর্যটকের সামনে তুলে ধরতে গত ২২ আগস্ট থেকে শান্তিনিকেতনের সৃজনী শিল্পগ্রামে শুরু হয়েছে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের আদিবাসী  চিত্রের ওপর একটি বিশেষ কর্মশালা। যা চলবে আগামী ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ঝাড়খণ্ড থেকে আগত ৬ জন শিল্পীর মিলিত প্রচেষ্টায় এই কর্মশালাটি অতি সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন। তাঁদের তুলিতে মূলত সাঁওতাল সংস্কৃতির যাদু পটচিত্র, পাইটকর চিত্র ও সহরায় চিত্রে সেজে উঠছে সৃজনী শিল্পগ্রামের দেওয়ালগুলি।

ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী চিত্রকলা তুলে ধরতে বিশেষ কর্মশালা সৃজনীতে 2

এখানে শিল্পী চুনারাম হেমরম একজন সহযোগী নিয়ে অঙ্কন করছেন ‘যাদুপটিয়া চিত্র’। শিল্পী কিশোর গায়েন ও তার সহশিল্পী মিলে যুক্ত রয়েছেন ‘পাইটকর চিত্র’ অঙ্কনে এবং অনিতা দেবী তার সহযোগীকে নিয়ে অঙ্কন করছেন ‘সহরাই চিত্র’।

পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের অনন্যা চিত্র নিদর্শন জন-সাধারণের কাছে আরও বেশি করে তুলে ধরার প্রয়াসে এই কর্মশালার প্রকৃত উদ্দেশ্য, বলে জানালেন পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের অধিকর্তা গৌরী বসু।

সৃজনী শিল্পগ্রামের আধিকারিক অমিত অধিকারী জানালেন, পাশ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল লোকসংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আদিবাসী চিত্রকলায় সেজে ওঠা সৃজনীর ‘লোকঘর’ শান্তিনিকেতনে আগত দর্শকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় ও মনোগ্রাহী হয়ে উঠবে।

Advertisement
Previous article২০০ বছর আগেই মেঘের শ্রেণী বিন্যাস করেছিলেন এক ব্রিটিশ রসায়নবিদ
Next articleচমকপ্রদ আবিস্কার! ‘ওদাক’ দ্বীপটি এখন আর সর্ব উত্তরের দ্বীপ নেই

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here