প্রত্যন্ত গ্রামে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে ‘উপহার’-এর নতুন উদ্যোগ ‘হোপ’

Advertisement
হেতমপুরের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে ইতিমধ্যেই ‘উপহার’ আয়োজন করেছে সচেতনতা শিবির এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির-এর। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে আরও একটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সমব্যথী’। এদিনের শিবিরে মায়েদের বোঝানো হয়, তাঁরা করোনা পরিস্থিতিতে কিভাবে শিশুদের যত্নে রাখবেন এবং কি কি বিষয়-এর উপর লক্ষ্য রাখবেন। এর পাশাপাশি এদিনের শিবিরে উপস্থিত শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চক্ষু পরীক্ষা করা হয়। – ছবি : জনদর্পণ প্রতিনিধি
প্রত্যন্ত গ্রামে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে ‘উপহার’-এর নতুন উদ্যোগ ‘হোপ’

সুজয় ঘোষাল : ভারতে ক্রমেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখন নিম্নমুখী। বেশ কিছুদিন থেকেই সমগ্র দেশ জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজারের কাছাকাছি। এই সংখ্যা আগামীতে আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ-এর বিষয়ে সতর্ক করছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনার তৃতীয় ঢেউ-এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে শিশুদের উপর। তাই এখন থেকেই শিশুদের স্বাস্থ্যের প্রতি যথেষ্ট নজর রাখার কথা জানাচ্ছেন তাঁরা।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গিয়েছে, প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে যথেষ্ট স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছাতে পারে না। উপযুক্ত চিকিৎসা থেকে অনেক সময়ই বঞ্চিত হন ওই সমস্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলির বাসিন্দারা। করোনা সংক্রমণের বিষয়েও অনেক ক্ষেত্রে অনেক কিছুই অজানা থেকে যায় তাঁদের কাছে। তাই করোনার তৃতীয় ঢেউ-কে প্রতিহত করতে, শিশুদের সেই ঢেউ থেকে রক্ষা করতে বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ি-র স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘উপহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে তাদের নতুন প্রকল্প ‘হোপ’ বা ‘হেলথ অপরচুনিটি ফর পিপল এভেরিওয়্যার’। যার উদ্দেশ্য, সমাজের প্রতিটি প্রান্তে সুস্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সচেতনতা পৌঁছে দেওয়া।

এই লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে সম্প্রতি হেতমপুরের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে ইতিমধ্যেই তারা আয়োজন করেছে সচেতনতা শিবির এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির-এর। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে আরও একটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সমব্যথী’। এদিনের শিবিরে মায়েদের বোঝানো হয়, তাঁরা করোনা পরিস্থিতিতে কিভাবে শিশুদের যত্নে রাখবেন এবং কি কি বিষয়-এর উপর লক্ষ্য রাখবেন। এর পাশাপাশি এদিনের শিবিরে উপস্থিত শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চক্ষু পরীক্ষা করা হয়।

শিবিরে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ প্রিয়ন্ত সরখেল ও চক্ষু পরীক্ষক ডাঃ সৌভিক দে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সমাজকর্মী সায়ন দান, রাজা গড়াই।

‘উপহার’ সংস্থার পক্ষ থেকে প্রিয়নীল পাল জানালেন, ‘আমরা সময় থাকতেই কাজ শুরু করে দিতে চাইছি। তাই এখন থেকেই করোনার তৃতীয় ঢেউ-কে প্রতিহত করতে এবং শিশুদের সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে মানুষদের সচেতন করছি। এরই সঙ্গে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ করে দিচ্ছি, যাতে শিশুরা সুস্থ থাকতে পারে’।

Advertisement
Previous articleবিলুপ্ত হওয়ার প্রায় ৭০ বছর পর আবারও ফিরে এল ‘গ্রিন ব্রডবিল’
Next articleজলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে দেহের আকার পরিবর্তনের সম্পর্ক রয়েছে, দাবি বিজ্ঞানীদের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here