করোনার নতুন স্ট্রেইন থেকে শিশুদের রক্ষা করার লক্ষ্য নিয়ে ‘উপহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’-র ‘চলমান চেম্বার’ ৬ জুন পৌঁছে গেল বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ি সংলগ্ন ধল্লা গ্রামে। এবং সেখানে ৫০টিরও বেশি শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করল তারা। এদিনের ‘চলমান চেম্বার’-এর সঙ্গে চিকিৎসক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর প্রিয়ন্ত সরখেল। – ছবি : জনদর্পণ প্রতিনিধি |

সুজয় ঘোষাল : ইতিমধ্যে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভুগছে গোটা দেশ, সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গও। অন্যদিকে বিশ্বের কয়েকটি দেশে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউও হানা দিতে শুরু করেছে। যদি ভারতেও এই তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানে, তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারে দেশের শিশুরা। করোনার নতুন স্ট্রেইন শিশুদের জন্য খুব বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করছেন এদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানী থেকে গবেষকেরাও। ফলে চিন্তিত এই রাজ্যের অভিভাবকদের একাংশ। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউ আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে পারে।
এরকম অবস্থায় শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে অভিভাবকদের বাড়তি যত্ন নিতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে শিশুদের পরিবারকে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে তাদের নির্দিষ্ট গাইডলাইনে এবং নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে, যাতে আগামী দিনে বড়সড় বিপদ না ঘটতে পারে। যদিও প্রান্তিক গ্রামগুলির আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে খুব বেশি অবগত বা সচেতন নয় তাদের পরিবার।
ঠিক এই সময়ে করোনার নতুন স্ট্রেইন থেকে শিশুদের রক্ষা করার লক্ষ্য নিয়ে ‘উপহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’-র ‘চলমান চেম্বার’ ৬ জুন পৌঁছে গেল বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ি সংলগ্ন ধল্লা গ্রামে। এবং সেখানে ৫০টিরও বেশি শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করল তারা। এদিনের ‘চলমান চেম্বার’-এর সঙ্গে চিকিৎসক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর প্রিয়ন্ত সরখেল। শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি তাদের ওজন, শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় সহ আরও একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়।
ডক্টর প্রিয়ন্ত সরখেল জানালেন, ‘চলমান চেম্বার’-এর মাধ্যমে ক্যাম্পগুলি খুবই উপকৃত হয়েছে। শিশুদের সমস্ত রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাও সম্ভব হয়েছে। বেশ কিছু বাচ্চার আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। তাদের আয়রন ট্যাবলেট খেতে বলা হয়েছে।
উপহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি পক্ষ থেকে প্রিয়নীল পাল জানালেন, প্রান্তিক গ্রামগুলির মানুষদের কোভিড সচেতনতা বাড়াতে তাদের এই বিশেষ উদ্যোগ। আগামী দিনে এই রকম আরও কিছু করার ইচ্ছাও রয়েছে তাঁদের।