বারবার সচেতন করা সত্ত্বেও লক্ষ্য করা গিয়েছে সমাজের কিছু ব্যক্তি এখনও পুরোপুরি সচেতন নন। তাঁরা প্রশাসনিক নিয়মনামা অনুসরণ না করে মাস্ক ব্যবহার করতেও চান না। আবার অনেকেই আছেন নিয়ম অনুসরণ করতে চাইলেও মাস্ক কেনার সামর্থ্য তাঁদের নেই। অথচ কর্মসংস্থানের জন্যেই হোক বা অন্য যে কোনও জরুরি প্রয়োজনেই হোক, পথে তাঁদের বেরুতেই নয়। অনেক সময় তাঁদের উপায়ও থাকে জনসংযোগ এড়িয়ে চলার। – ছবি : জনদর্পণ প্রতিনিধি |

বিশ্বজিৎ ঘোষ : কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল সমগ্র দেশ, ও সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গও। যদিও সংক্রমণের দৈনিক গ্রাফ এখন নিম্নমুখী। বেশ কিছুদিন থেকেই ধীরে ধীরে কমে আসছে করোনা সংক্রমণের হার। এই ঘটনায় সাময়িক স্বস্তি মিললেও, কোনওভাবেই ব্যাপারটি হালকাভাবে নেওয়ার নয়। কারণ বিশেষজ্ঞদের দাবি, যে কোনও মুহূর্তে করোনার তৃতীয় টেউ আসতে পারে। তাই সংক্রমণ এড়াতে বাড়ির বাইরে বেরুলেই নিয়ম করে মাস্ক ব্যবহার অতি আবশ্যক।
যদিও লক্ষ্য করা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের শেষ পর্যায়ে সংক্রমণ কমতে শুরু করতেই পথযাত্রীদের মুখ থেকে হঠাৎ অদৃশ্য হতে শুরু করে মাস্ক। সেই সঙ্গে করোনা সম্পর্কিত বিধিনিষেধের বেড়াজালও ভেঙে পড়তে থাকে। যদিও দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতেই মানুষ পূর্বের মতো আবারও সচেতন হতে শুরু করেছে।
বারবার সচেতন করা সত্ত্বেও লক্ষ্য করা গিয়েছে সমাজের কিছু ব্যক্তি এখনও পুরোপুরি সচেতন নন। তাঁরা প্রশাসনিক নিয়মনামা অনুসরণ না করে মাস্ক ব্যবহার করতেও চান না। আবার অনেকেই আছেন নিয়ম অনুসরণ করতে চাইলেও মাস্ক কেনার সামর্থ্য তাঁদের নেই। অথচ কর্মসংস্থানের জন্যেই হোক বা অন্য যে কোনও জরুরি প্রয়োজনেই হোক, পথে তাঁদের বেরুতেই নয়। অনেক সময় তাঁদের উপায়ও থাকে জনসংযোগ এড়িয়ে চলার।

তাই এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিশ্বভারতীর পল্লী সংগঠন বিভাগের পড়ুয়া ও বীরভূম জেলার আমোদপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে আমোদপুরের বেশকিছু জনবহুল অঞ্চলে ৮ জুন গুটি কয়েক ‘মাস্ক-বাক্স’ স্থাপন করা হয়েছে। উদ্যোগতাদের দাবি অনুযায়ী, এই ‘মাস্ক-বাক্স’-এ প্রত্যেকদিনই চাহিদা অনুযায়ী মাস্ক রাখা হবে। যে কেউই সেখান থেকে মাস্ক নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।
এদিন ‘মাস্ক-বাক্স’ উদ্বোধন করেন আমোদপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই (ASI) জয়নিতাই মাল। উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় সিভিক ভলেন্টিয়ার ও সেই সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে বিব্রসু পরামানিক, সায়নী দত্ত, ভাস্কর দত্ত, সংগ্রাম সাহা, সুজয় ঘোষাল, বিজয় ঘোষাল, সুদীপ্ত হাজরা, প্রীতি সাহা, অনন্যা ভান্ডারী ও লাবনী ঘোষ।
পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে বিব্রসু পরামানিক, সায়নী দত্ত ও ভাস্কর দত্ত জানালেন, মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা আনতে তাঁদের এই বিশেষ উদ্যোগ। প্রথমপর্বে চারটি ‘মাস্ক-বাক্স’ বসানো হলেও পরবর্তী সময়ে আরও বেশ কিছু এই রকম ‘মাস্ক-বাক্স’ স্থাপন করা হবে।