একটি ঘূর্ণিঝড়ের উপস্থিতি রয়েছে মধ্যপ্রদেশের উপর। যার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গেও। কারণ ওই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ পশ্চিমবঙ্গের দিকেই রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, নদীয়া, আলিপুরদুয়ার, উত্তর ২৪ পরগনা ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও বেশ অনেকটাই নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ২-৬ মে জেলা জুড়ে দুর্যোগপ্রবণ আবহাওয়া চলাকালীন হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিও। |

জনদর্পণ ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে ২ মে সকাল থেকেই শুরু হবে ভোট গণনা, আর এদিন থেকেই ৬ মে পর্যন্ত চলতে পারে ঝড়-বৃষ্টি। অন্তত এমনটাই আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২ মে থেকে আগামী ৫ দিন অর্থাৎ ৬ মে পর্যন্ত রাজ্যের একাধিক জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে।
এমনিতেই চৈত্রের শেষ থেকে বৈশাখের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রখর রৌদ্রে হাঁসফাঁস করছে সমগ্র রাজ্যবাসী। যদিও ইতিমধ্যে দু-একটি আঞ্চলিক কালবৈশাখীর মুখ দেখেছে একাধিক জেলা। তবে তা সাময়িক স্বস্তি মাত্র। তীব্র গরম থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এবার কিছুদিনের জন্য সেই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, একটি ঘূর্ণিঝড়ের উপস্থিতি রয়েছে মধ্যপ্রদেশের উপর। যার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গেও। কারণ ওই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ পশ্চিমবঙ্গের দিকেই রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, নদীয়া, আলিপুরদুয়ার, উত্তর ২৪ পরগনা ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও বেশ অনেকটাই নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ২-৬ মে জেলা জুড়ে দুর্যোগপ্রবণ আবহাওয়া চলাকালীন হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিও। বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ৫০-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। নবান্ন সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে রাজ্যবাসীদেরকেও।