ইটালির এই ক্যাস্টিগলিওনি ডি সিসিলিয়া শহরটি যে অপূর্ব সুন্দর, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই এর আকর্ষণের মূল কারণ। পর্যটকরা প্রায় সারা বছরই এখানে বেড়াতে এসে দিব্যি কয়েকটা দিন স্বচ্ছন্দে কাটিয়ে যেতে চান। কিন্তু দীর্ঘদিন এই শহরটিতে বসবাস করা বেশ কঠিন। কারণ এখানে উপার্জনের তেমন কোনও ব্যবস্থাই নেই। যারা দীর্ঘদিন এখানে বসবাস করছেন তাদের অনেকেই এখন বাড়ি বিক্রি করে অন্য কোথাও চলে যেতে চায়ছেন। |

অনলাইন পেপার : সস্তায় একটা সাজানো গোটা বাড়ি কেনার ইচ্ছা কার না থাকে? তবে অনেক সময় অর্থের অভাবে সেই ইচ্ছা পূরণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তার উপর যদি কোনও আধুনিক শহর বা মনোরম স্থান হয়, তবে সেখানকার যে কোনও বাড়ির মূল্য হয়ে যায় আকাশ ছোঁয়া। এই যেমন কলকাতার বুকেই একটা গোটা বাড়ি পাওয়া এখন প্রায় ‘আকাশ কুসুম কল্পনা’। যা বিক্রি হচ্ছে, তা সবই প্রায় ফ্ল্যাট আকারে। তার দাম-ই বা কম কোথায়? স্থান বিশেষে ডবল রুমের একটা ফ্ল্যাটের বর্তমান মূল্য গড়ে ১২ থেকে ৩০ লাখ টাকার কম নয়।
কিন্তু ইটালির ক্যাস্টিগলিওনি ডি সিসিলিয়া শহরে খোঁজ করলে ফ্ল্যাট নয়, জলের দরেই মিলবে একটা গোটা সাজানো বাড়ি। তাও আবার পাহাড়ের মনোরম পরিবেশে। সেখানে সকালে ঘুম থেকে উঠলেই নজরে পড়বে একদিকে সবজে পাহাড়, আর অপর দিকে ঢেউ ভাঙা নীলচে সাগর-এর। এ যেন ছবির মতো সাজানো একটা শহর।
এই শহরটি পাহাড় আর সাগরের অসাধারণ সংযোগের মনোরম পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। প্রায় সারা বছর ধরেই এখানে অসংখ্য পর্যটকের ভিড় জমে থাকে। আর এখানেই গোটা একটা বাড়ির মূল্য মাত্র ১ ইউরো বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৫ টাকা। তবে আশ্চর্যের, এত কম মূল্য হওয়া স্বত্বেও বাড়ি কিনতে এগিয়ে আসছে না তেমন কেউই।
ঘটনাটি কি? ইটালির এই ক্যাস্টিগলিওনি ডি সিসিলিয়া শহরটি যে অপূর্ব সুন্দর, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই এর আকর্ষণের মূল কারণ। পর্যটকরা প্রায় সারা বছরই এখানে বেড়াতে এসে দিব্যি কয়েকটা দিন স্বচ্ছন্দে কাটিয়ে যেতে চান। কিন্তু দীর্ঘদিন এই শহরটিতে বসবাস করা বেশ কঠিন। কারণ এখানে উপার্জনের তেমন কোনও ব্যবস্থাই নেই। যারা দীর্ঘদিন এখানে বসবাস করছেন তাদের অনেকেই এখন বাড়ি বিক্রি করে অন্য কোথাও চলে যেতে চায়ছেন। কেউ বা উপায় না পেয়ে ইতিমধ্যেই গোটা বাড়ি ফেলে রেখে চলেও গিয়েছেন।
এই রকম পরিত্যক্ত বাড়ি এখানে রয়েছে প্রায় ৯০০টির মতো। আর এই বাড়িগুলিকেই পূর্বের মতো বসতি গড়তে ১ ইউরোতে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শহরটির কর্তৃপক্ষ। শহরটির মেয়র জানাচ্ছেন, আগে এই শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ হাজারের কাছাকাছি। এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ৩ হাজারে।