পারসিভিয়ারেন্স-এ থাকা ‘Rock Zapping Laser’ যখন পাথর গবেষণার কাজ শুরু করে তখন তার শব্দও শোনা যায়। মূলত জ্যাম্পিং সাউণ্ডের ভ্যারিয়েশনের সাহায্যেই পাথরের বিভিন্ন ফিজিক্যাল স্ট্রাকচারের গঠন-প্রকৃতি সম্পর্কে তথ্য জানতে পারেন গবেষকেরা। এই ধরণের পরীক্ষার ফলেই জানা যাবে মঙ্গলের বুকে পাওয়া ওই অদ্ভুত আকৃতির পাথরটির প্রকৃতি। আর তখনই জানা যাবে ওই পাথরটি মঙ্গলের আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্যই সৃষ্টি হয়েছে, নাকি ওটা কোনও অজানা উল্কাখণ্ড। |

রঞ্জন সরকার : পারসিভিয়ারেন্স-এর চোখ দিয়ে এখন রীতিমতো চলছে মঙ্গল দর্শন। আর সেই সঙ্গে জোর কদমে চলছে মঙ্গল নিয়ে গবেষণাও। যার ফলে ওই লাল গ্রহটি সম্পর্কে নতুন নতুন বিষয় জানা যাচ্ছে, বোঝা যাচ্ছে, আর বিচারও করা যাচ্ছে। সম্প্রতি নাসার পাঠানো মহাকাশযান রোভার পারসিভিয়ারেন্স-এ রয়েছে ‘Rock Zapping Laser’। যার সাহায্যে পারসিভিয়ারেন্স যে কোনও পাথর গবেষণা করে তার বিস্তারিত বিবরণ বের করতে পারছে।
এর আগে মঙ্গলের বুকে এক এক করে অসংখ্য যন্ত্রাংশ নামিয়েছে নাসা। তবে সম্প্রতি নামিয়েছে একটি কপটার, যে কিনা উড়ে বেড়াবে মঙ্গলের লাল মাটির উপর। যদিও তার উড়ে বেড়ানোর সময় এখনও উপস্থিত হয়নি। এখনও রয়েছে ঢের দেরি। তার প্রক্রিয়া অবশ্য থেমে নেই। কিন্তু এই হেলিকপটারটি নামার পরেই এক অদ্ভুত আকৃতির পাথরের সন্ধান পেয়েছে পারসিভিয়ারেন্স। যদিও পাথরটি সম্পর্কে এখনও তেমন কোনও মন্তব্য করেনি নাসা।
নাসা জানিয়েছে, পাথরটি লম্বায় প্রায় ৫ ইঞ্চি বা ১৫ সেন্টিমিটার। পাথরটির সমগ্র শরীর জুড়ে রয়েছে অসংখ্য ছোটো বড় গর্ত। এমনিতেই মঙ্গলকে ‘উল্কাখণ্ডের রাজ্য’ বা ‘মেটিওরাইটস প্ল্যানেট’ বলা হয়ে থাকে। কারণ প্রায় কোনও রকম বাধা না থাকায় অজস্র উল্কাপাত হয়ে থাকে মঙ্গলে। এখানে বলে রাখা ভালো, এই মঙ্গল আর বৃহস্পতির মাঝেই রয়েছে উল্কাদের রাজ্য, বা বেল্ট। এরা প্রায় সময়ই পথ হারিয়ে মঙ্গলের অভিকর্ষ বলের আওতায় এসে তার দিকে ধেয়ে আসে। ফলে মঙ্গল পৃষ্ঠে প্রচুর ছোটো-বড় উল্কাখণ্ড পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পারসিভিয়ারেন্স-এ থাকা ‘Rock Zapping Laser’ যখন পাথর গবেষণার কাজ শুরু করে তখন তার শব্দও শোনা যায়। মূলত জ্যাম্পিং সাউণ্ডের ভ্যারিয়েশনের সাহায্যেই পাথরের বিভিন্ন ফিজিক্যাল স্ট্রাকচারের গঠন-প্রকৃতি সম্পর্কে তথ্য জানতে পারেন গবেষকেরা। এই ধরণের পরীক্ষার ফলেই জানা যাবে মঙ্গলের বুকে পাওয়া ওই অদ্ভুত আকৃতির পাথরটির প্রকৃতি। আর তখনই জানা যাবে ওই পাথরটি মঙ্গলের আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্যই সৃষ্টি হয়েছে, নাকি ওটা কোনও অজানা উল্কাখণ্ড। আপাতত এই পাথরটিকে নিয়ে বেশ খোশ মেজাজেই রয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।