অনেক বিশেষজ্ঞ এর জন্য করোনা মহামারিকেই দায়ী করতে চায়ছেন। কারণ বিভিন্ন দেশে চালানো সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে করোনা পরিস্থিতির মাঝে কিছু ক্ষেত্রে দম্পতিরা সন্তান নিতে নারাজ ছিলেন। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ফ্রান্স ও জার্মানিতে ২০২০ সালে সন্তান নিতে বিরত ছিলেন প্রায় ৫০ শতাংশ দম্পতি। ইতালিতে এই হার প্রায় ৩৭ শতাংশ। এর পাশাপাশি কোরিয়া, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, লাটভিয়া, তাইওয়ান, লিথুয়ানিয়া-ই জন্মের হার হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। |

অনলাইন পেপার : করোনার প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু বিশেষজ্ঞের মত ছিল, করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ব জুড়ে বাড়তে পারে শিশু জন্মের হার। তাঁরা ধারণা করেছিলেন, করোনার জন্য বিশ্ব জুড়ে চলা দীর্ঘদিনের লকডাউনে অধিকাংশ মানুষই ‘পরিবার পরিকল্পনা’ থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও জন্ম নিরোধকের মতো একাধিক ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে ‘পরিবার পরিকল্পনায়’ ভাঁটা পড়তে পারে। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারাবে শিশু জন্মের হার।
কিন্তু প্রকৃতভাবে সেই পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। লকডাউন পরবর্তী সময়ে এমনই জানাচ্ছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ। শুধু মাত্র দক্ষিণ এশিয়া বাদে প্রায় সমগ্র পৃথিবীতেই শিশু জন্মের হার বাড়েনি। উপরন্তু হ্রাস পেয়েছে। বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, এই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত একশো বছরে সবচেয়ে কম শিশুর জন্ম হয়েছে। যা দেশটির গবেষণায় উঠে এসেছে। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে শিশু জন্মের হার একেবারেই কমে গিয়েছে।
গত ১ বছরে শিশু জন্মের হার কেন এত কম? অনেক বিশেষজ্ঞ এর জন্য করোনা মহামারিকেই দায়ী করতে চায়ছেন। কারণ বিভিন্ন দেশে চালানো সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে করোনা পরিস্থিতির মাঝে কিছু ক্ষেত্রে দম্পতিরা সন্তান নিতে নারাজ ছিলেন। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ফ্রান্স ও জার্মানিতে ২০২০ সালে সন্তান নিতে বিরত ছিলেন প্রায় ৫০ শতাংশ দম্পতি। ইতালিতে এই হার প্রায় ৩৭ শতাংশ। এর পাশাপাশি কোরিয়া, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, লাটভিয়া, তাইওয়ান, লিথুয়ানিয়া-ই জন্মের হার হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
তবে শিশু জন্মের হার হ্রাসের জন্য করোনা মহামারিকেই কেন দায়ী করা হচ্ছে? বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইণ্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির কিন্সে ইন্সটিটিউট এর চালানো একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, কিছু ক্ষেত্রে মহামারির সময়ে চলা লকডাউনে দম্পতিদের প্রায় ৪০ শতাংশের শারীরিক মিলনের আগ্রহ হ্রাস পেয়েছিল। ঠিক একই ঘটনা চিনেও ঘটতে দেখা গিয়েছিল। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা মহামারির সময়ে চলা লকডাউন যৌন সম্পর্কের উপর কোনও প্রভাব ফেলেনি।
তবে শিশু জন্ম হ্রাসের সবচেয়ে বড়ো কারণ অবশ্যই অর্থনীতি। করোনা মহামারির জন্য চলা বিশ্ব জুড়ে লকডাউনের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্থনীতি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমস্যার জন্যই দম্পতিরা গত প্রায় ১ বছর সন্তান ধারণে অসম্মতি জানিয়েছেন।