আসতে পারে ভবিষ্যৎ মহামারি মোকাবিলার নতুন চুক্তিপত্র, সম্মতি ২৩ দেশের

Advertisement
করোনা-ই যে শেষ মহামারি নয়, এ কথাও একাধিক বিশেষজ্ঞ স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁদের আশঙ্কা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে করোনার মতো ভয়ঙ্কর মহামারি। হয়তো করোনার থেকেও মারাত্মক ভাইরাস ছড়াতে পারে গোটা বিশ্ব জুড়ে। তাই তাঁদের পরামর্শ, আগাম সতর্কতা অবলম্বনে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে ভবিষ্যৎ মহামারির ব্যাপকতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-ও এব্যাপারে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।

আসতে পারে ভবিষ্যৎ মহামারি মোকাবিলার নতুন চুক্তিপত্র, সম্মতি ২৩ দেশের
Image by Miguel A. Padrinan from Pixabay

অনলাইন পেপার : ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনার প্রভাব এখনও অব্যাহত। এই মারণ ভাইরাসে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে ১২ কোটি ৯০ লাখেরও বেশি মানুষ। মারা গিয়েছে প্রায় ২৮ লাখেরও বেশি মানুষ। এই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এখনও বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে করোনার নতুন স্টেইনও নতুন করে প্রভাব বাড়িয়ে চলেছে বিশ্ব জুড়ে।

যদিও ইতিমধ্যেই গণহারে ভ্যাকসিন প্রয়োগের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সমগ্র বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া স্বল্প সময়ে মোটেও সহজ কাজ নয়। এ এক রীতিমতো কঠিন চ্যালেঞ্জ।

কিন্তু করোনা-ই যে শেষ মহামারি নয়, এ কথাও একাধিক বিশেষজ্ঞ স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁদের আশঙ্কা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে করোনার মতো ভয়ঙ্কর মহামারি। হয়তো করোনার থেকেও মারাত্মক ভাইরাস ছড়াতে পারে গোটা বিশ্ব জুড়ে। তাই তাঁদের পরামর্শ, আগাম সতর্কতা অবলম্বনে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে ভবিষ্যৎ মহামারির ব্যাপকতা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-ও এব্যাপারে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। গত বছরের নভেম্বরে জি-২০-র সম্মেলনে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল একটি ভবিষ্যৎ মহামারি মোকাবিলার একটি নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল। তাঁর প্রস্তাবে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, মহামারির সময়ে প্রত্যেকে যেন ওষুধ, টিকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার সমান সর্বজনীন অধিকার লাভ করতে পারে সে ব্যাপারে লক্ষ্য স্থির করতে হবে।

চার্লস মিশেলের এই ধারণা থেকে ‘হু’ সম্প্রতি ভবিষ্যৎ মহামারি মোকাবিলার ক্ষেত্রে একটি নতুন আন্তর্জাতিক চুক্তির উদ্যোগ নিতে চলেছে। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে, জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হতে পারে এমন যে কোনও বিষয়ে তথ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে কড়াকড়ি হতে পারে। যদিও এবিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বড়ো কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ‘হু’।

গত ৩০ মার্চের একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ‘হু’-এর মহাপরিচালক জানিয়েছেন, নতুন এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বর্তমান মহামারি মোকাবিলায় যে সমস্ত অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তার পথও সরল হতে পারে। চলতি বছরের আগামী মে মাসে সঙ্ঘটিত হতে চলা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ১৯৪টি দেশের প্রতিনিধির কাছে নতুন এই চুক্তির খসড়া তুলে ধরা হতে পারে।

যদিও ইতিমধ্যেই গত ৩০ মার্চ ভবিষ্যৎ মহামারি মোকাবিলার এই নতুন চুক্তির ব্যাপারে সম্মতি জানিয়ে দিয়েছে ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, জার্মানি, কোস্টারিকা, নেদারল্যান্ডস, চিলি, দক্ষিণ কোরিয়া, পর্তুগাল, গ্রিস, রোমানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া সহ ২৩টি দেশ।

Advertisement
Previous articleভেষজ আবিরের চাহিদা ছিল এবছর বেশ তুঙ্গে
Next articleচকলেটের বয়স ১২১ বছর, খোঁজ মিলল যুক্তরাজ্যে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here