খোঁজ পাওয়া গেল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম গিরগিটির

Advertisement
এমনিতেই দ্রুত রঙ পরিবর্তন করতে গিরগিটির জুড়ি মেলা ভার। আত্মরক্ষা ও শিকার ধরার সুবিধার্থেই তারা এই উপায় অবলম্বন করে থাকে। যাতে তারা খুব সহজেই পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের মিশিয়ে ফেলতে পারে। এই পৃথিবীতে তাদের চলাচল প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় ধরে। সেযুগের ডাইনোসরদেরকেও এই গিরগিটি প্রজাতির মধ্যে ফেলা যায়। অনেক প্রাণীবিদের ধারণা এখনকার গিরগিটি আসলে সেযুগের ডাইনোসরের ক্ষুদ্র সংস্করণ মাত্র।

খোঁজ পাওয়া গেল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম গিরগিটির

অনলাইন পেপার : প্রাণী বিজ্ঞানীরা এবার খোঁজ পেলেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম গিরগিটির। যার দৈর্ঘ্য মাত্র ০.৫৩ ইঞ্চি বা ১৩.৫ মিলিমিটার। জার্মানি ও মাদাগাস্কারের একদল প্রাণী বিজ্ঞানী মাদাগাস্কারের উত্তরে গবেষণা চালানোর সময় এই গিরগিটি প্রজাতিটির সন্ধান পায়।

এমনিতেই দ্রুত রঙ পরিবর্তন করতে গিরগিটির জুড়ি মেলা ভার। আত্মরক্ষা ও শিকার ধরার সুবিধার্থেই তারা এই উপায় অবলম্বন করে থাকে। যাতে তারা খুব সহজেই পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের মিশিয়ে ফেলতে পারে। এই পৃথিবীতে তাদের চলাচল প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় ধরে। সেযুগের ডাইনোসরদেরকেও এই গিরগিটি প্রজাতির মধ্যে ফেলা যায়। অনেক প্রাণীবিদের ধারণা এখনকার গিরগিটি আসলে সেযুগের ডাইনোসরের ক্ষুদ্র সংস্করণ মাত্র। তবে বর্তমানে আবিস্কৃত হওয়া গিরগিটি প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৮৬৭৫টি।

এবার এই প্রাজাতির সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হল আর একটি প্রজাতি। যার দৈর্ঘ্য ০.৫৩ ইঞ্চি প্রায়। যা একটি সূর্যমুখী বীজের প্রায় সমান। একজন মানুষের আঙুলের মাথায় সচ্ছন্দেই বসে থাকতে পারে। প্রাণী বিজ্ঞানীরা এই নতুন প্রজাতির গিরগিটির নাম দিয়েছেন ব্রুকেসিয়া ন্যানো। এই প্রজাতির একটি পুরুষ এবং একটি স্ত্রী গিরগিটি তাঁরা আবিষ্কার করেছেন।

এখনও পর্যন্ত যতগুলি গিরগিটি প্রাণী বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময়ে আবিষ্কার করেছেন, তার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার কমোডো ড্রাগনের দৈর্ঘ্যই সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৭.৫-৮.৫ ফুট। এছাড়াও বঙ্গদেশের ওয়াটার মনিটরের দৈর্ঘ্যও কম নয়, প্রায় ৬ ফুট।

এর আগে যে ন্যানো প্রজাতির গিরগিটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল তার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ০.৮৭ ইঞ্চি বা ২২ মিলিমিটার মাত্র। যেটি আবিষ্কার হয়েছিল ২০১২ সাল নাগাদ। এবার তার থেকেও কম দৈর্ঘ্যের গিরগিটির সন্ধান পেলেন জার্মানি ও মাদাগাস্কারের প্রাণী বিজ্ঞানীরা।

গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এমনিতেই উপযুক্ত আবাস্থলের অভাবে ন্যানো প্রজাতির গিরগিটিরা পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অতি দ্রুত। কিছু প্রজাতি ইতিমধ্যে হারিয়েও গিয়েছে। তবে এই নতুন প্রজাতিটির আবস্থল সুরক্ষিত করা হয়েছে। তাতে এদের রক্ষা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisement
Previous articleস্কুলছুটদের শিক্ষার মূলস্রোতে ফেরাতেই শুরু হয়েছিল ‘সোনাঝুড়ি শিক্ষানিকেতন’
Next articleমা ও শিশুর পুষ্টি বিষয়ক সমস্যা নিয়ে প্রদর্শনী রাজনগরে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here