পশ্চিমবঙ্গেও এই ১৬ জানুয়ারি থেকেই শুরু হচ্ছে টিকাদান। টিকা পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের ডিজিটাল অ্যাপ ‘কো-উইন ২০’-এ নাম নথিভুক্তের কথা জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ। টিকা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে কলকাতা থেকে, এবং সবচেয়ে কম আগ্রহ দেখিয়েছে কালিম্পং। পশ্চিমবঙ্গের জন্য এখনও পর্যন্ত ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫০০ ডোজ টিকার বরাদ্দ করা হয়েছে। ভারতে দুটি টিকা অনুমোদন পেলেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত পৌঁছেছে শুধুমাত্র কোভিশিল্ড। |

জনদর্পণ ডেস্ক : প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে এবার। বিগত প্রায় ১ বছর ধরে চলা করোনার সঙ্গে ছায়াযুদ্ধের এবার যবনিকা ঘটাতে শনিবার অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি থেকেই প্রস্তুত হচ্ছে সমস্ত ভারত। ইতিমধ্যেই দেশের ৩ হাজার ৬টি কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছে করোনার টিকা। প্রতিদিন এই টিকা দেওয়া হবে গড়ে ১০০ জনকে।
ভারতে দুটি টিকা এখনও পর্যন্ত জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে। এর মধ্যে একটি কোভিশিল্ড, যেটি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট মিলিতভাবে তৈরি করেছে। আর অপরটি কো-ভ্যাকসিন, যেটি ভারতের ভারত বায়োটেক সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে। এই দুটি টিকা-ই ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের ১৩টি শহরে।
পশ্চিমবঙ্গেও এই ১৬ জানুয়ারি থেকেই শুরু হচ্ছে টিকাদান। টিকা পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের ডিজিটাল অ্যাপ ‘কো-উইন ২০’-এ নাম নথিভুক্তের কথা জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ। টিকা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে কলকাতা থেকে, এবং সবচেয়ে কম আগ্রহ দেখিয়েছে কালিম্পং। পশ্চিমবঙ্গের জন্য এখনও পর্যন্ত ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫০০ ডোজ টিকার বরাদ্দ করা হয়েছে। ভারতে দুটি টিকা অনুমোদন পেলেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত পৌঁছেছে শুধুমাত্র কোভিশিল্ড।
তবে এই রাজ্যের অনেক চিকিৎসকই এখনও পর্যন্ত টিকা নেওয়ার জন্য তাঁদের নাম ডিজিটাল অ্যাপ ‘কো-উইন ২০’-এ নথিভুক্ত করেননি। সূত্রে জানা জানা যাচ্ছে, তাঁরা করোনার টিকা সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছেন না। টিকা নেওয়ার পর তা কার্যকর হবে কিনা বা কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে কিনা, এব্যাপারেও যথেষ্ট সন্দিহান তাঁরা।
সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৯ কোটি ৩৬ লক্ষ প্রায়। মারা গিয়েছে ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এদেশে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৩৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ। এরপরই রয়েছে ভারত। এদেশে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গিয়েছে দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষ।