বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির স্বপ্ন এখন মঙ্গলে শহর তৈরি করা

Advertisement
ইলন মাস্ক, কিছুদিন আগেই যাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর স্বপ্ন এখন মঙ্গলের বুকে শহর তৈরি করা। ব্যাপারটি অবিশ্বাস্য রকম কঠিন হলেও ইতিমধ্যেই তিনি ঘোষণা করেছেন তাঁর এই অদ্ভুত পরিকল্পনার কথা। আর সেই সঙ্গে এই ‘স্পেস এক্স’-এর সিইও টার্গেটও বেঁধে নিয়েছে এই স্বপ্নের জন্য। ঘোষণা করেছেন আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে তিনি মঙ্গল গ্রহে একটি গোটা শহর নির্মাণ করতে চলেছেন।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির স্বপ্ন এখন মঙ্গলে শহর তৈরি করা

অনলাইন পেপার : স্বপ্ন দেখতে কে না ভালোবাসে। তবে সেই স্বপ্ন যদি অবাস্তব হয়ে থাকে, তাহলে তার কোনও মূল্য থাকে না। কিন্তু বর্তমান প্রযুক্তির যুগে অবাস্তব বলেও কিছু নেই। কঠিন ক্রিয়াকর্মকেও এই যুগে অতি সহজভাবে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। শুধু তার জন্য চাই নিখুঁত পরিকল্পনা, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার এবং অফুরন্ত অর্থ। এই সবগুলি যাঁর পকেটে থাকবে, তিনি অবশ্যই তাঁর অবাস্তব স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবেন।

তেমনই একজনের নাম ইলন মাস্ক। কিছুদিন আগেই যাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর স্বপ্ন এখন মঙ্গলের বুকে শহর তৈরি করা। ব্যাপারটি অবিশ্বাস্য রকম কঠিন হলেও ইতিমধ্যেই তিনি ঘোষণা করেছেন তাঁর এই অদ্ভুত পরিকল্পনার কথা। আর সেই সঙ্গে এই ‘স্পেস এক্স’-এর সিইও টার্গেটও বেঁধে নিয়েছে এই স্বপ্নের জন্য। ঘোষণা করেছেন আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে তিনি মঙ্গল গ্রহে একটি গোটা শহর নির্মাণ করতে চলেছেন।

২৮ জুন ১৯৭১ সালে ইলন মাস্কের জন্ম হয় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায়। তাঁর বাবা এরল মাস্ক একজন নাবিক ও প্রপার্টি ডেভলপার ছিলেন। আর মা মায়া মাস্ক ছিলেন কানাডিয়ান, পেশায় একজন মডেলার। বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর মায়ের সঙ্গে তিনি কানাডায় চলে আসেন। শৈশব থেকেই তাঁর প্রযুক্তির উপর দখল ছিল যথেষ্ট। বিশেষ করে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ছিল তাঁর পছন্দের বিষয়। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি একবার কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এর বেসিক ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করেই তৈরি করে ফেলেছিলেন ভিডিও গেম। গেমটির নাম দিয়েছিলেন ‘ব্লাস্টার’। পরে ওই গেমটি তিনি ৫০০ ডলারে পিসি এন্ড অফিস টেকনোলজি ম্যাগাজিনে বিক্রি করে দিয়েছিলেন।

লেখাপড়ায় বরাবরই তিনি ছিলেন মেধাবী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সুযোগও পান। তবে অর্থের নেশায় সেই সুযোগ হাত ছাড়া করেন তিনি। তাতে কি! গবেষণা আর অর্থ উপার্জন তো আর থেমে থাকেনি তাঁর। বর্তমানে তিনি মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা ‘স্পেস এক্স’ ও বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘টেসলা মোটরস’-এর একজন সিইও। সেই সঙ্গে ১৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক তিনি। ব্লুমবার্গ সূচকে এই মুহূর্তে তিনিই হচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।

Advertisement
Previous articleঘাস দিয়ে শিল্প সামগ্রী বানিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন বল্লভপুরের মহিলারা (ভিডিও সহ)
Next articleবাস্তবে অস্তিত্ব না থাকলেও ‘কং’ পর্বতমালাকে কেন ম্যাপে দেখানো হয়েছিল?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here