একটি আংটি তৈরি করতেই ব্যবহার হল সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশি হিরে

Advertisement
রেনানি জুয়েলার্সের মালিক হরশিত তাঁর শখের এই আংটি-টিকে সৌভাগ্যের প্রতীকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এটির নাম রেখেছেন ‘মেরিগোল্ড দ্য রিং অব প্রসপারিটি’। কত দাম হতে পারে এই আংটিটির? এব্যাপারে নিশ্চিত করে তিনি এখনও কিছুই জানাননি। বরং তিনি এই আংটিটি বিক্রি করতেও রাজী নন। উৎসাহী ক্রেতারা কিনতে এলেও বিক্রি করতে চাননি তিনি। ইতিমধ্যেই ১৬৫ গ্রামের এই হিরের আংটির মালিকের নাম পৌঁছে গিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে।

একটি আংটি তৈরি করতেই ব্যবহার হল সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশি হিরে
Symbolic Image – Image by Antonio Rosales Hernandez from Pixabay

জনদর্পণ ডেস্ক : বিচিত্র সব মানুষ বিচিত্র রকমের শখ পূরণে তারা কি-ই না করে থাকে। মাঝে মধ্যে সেই সব শখ পূরণের খবর সোজা পৌঁছে যায় গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকের কাছে। তার রেকর্ডের পাতায় নাম উঠতে খুব বেশি সময়ও নেয় না। কথায় বলে, ‘শখের দাম লাখ টাকা’। তবে এখানে লাখ নয়, বরং কোটির সঙ্গেই তুলনা করা যেতে পারে। কারণ এবার শখ পূরণের সঙ্গে হিরের সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে। এখানে একটি আংটি তৈরি করতেই লেগে গেল সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশি হিরে। ঘটনাটি ঘটিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মেরঠের এক ২৫ বছর বয়সী যুবক হরশিত বনসল।

বছর কয়েক আগে তিনি সুরাতে গিয়েছিলেন গহনা ডিজাইনের কাজ শিখতে। এই কাজ শিখতে শিখতেই তাঁর অদ্ভুত এই শখের সূত্রপাত ঘটে। মনে মনে স্থির করে নেন, সুযোগ পেলে কোনও একদিন তিনি ১০ হাজারেরও বেশি হিরে দিয়ে তৈরি করবেন জগৎ বিখ্যাত এক আশ্চর্য সুন্দর হিরের আংটি।

কাজ শেখা সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও তিনি তাঁর শখ পূরণের লক্ষ্যে অটল থাকেন। শুরু করেন আংটির নকশা তৈরির কাজ। নকশা তৈরিতেও কম ঝামেলার সম্মুখীন হননি তিনি। নিজেই স্বীকার করেছেন, প্রায় ১ বছর ধরে তিনি এই নকশার কাজ করে গিয়েছেন। বহু নকশা নিজের কাছেই পছন্দ না হওয়ায় তিনি ফেলেও দিয়েছেন।

অবশেষে যে নকশাটি তিনি তৈরি করেছেন, সেটি দেখতে অনেকটা গাঁদা ফুলের মতো। তারপর একটির পর একটি হিরে গেঁথে তৈরি করেছেন আশ্চর্য সুন্দর এই আংটি-টি। আংটি তৈরি করতে ছোটো-বড়ো মিলিয়ে মোট হিরে লেগেছে ১২ হাজার ৬৩৮টি। এর ওজনও নেহাত কম নয়, ১৬৫ গ্রাম। আংটিটিতে রয়েছে মোট ৮টি স্তর। আর প্রতিটি স্তরেই সাজানো রয়েছে সারি সারি হিরে। আংটি-টি তুলনামূলক বড়ো ও ভারি হলেও আঙুলে পড়তে কোনও অসুবিধা হবে না, মত প্রকাশ করেছেন তিনি।

রেনানি জুয়েলার্সের মালিক হরশিত তাঁর শখের এই আংটি-টিকে সৌভাগ্যের প্রতীকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এটির নাম রেখেছেন ‘মেরিগোল্ড দ্য রিং অব প্রসপারিটি’। কত দাম হতে পারে এই আংটিটির? এব্যাপারে নিশ্চিত করে তিনি এখনও কিছুই জানাননি। বরং তিনি এই আংটিটি বিক্রি করতেও রাজী নন। উৎসাহী ক্রেতারা কিনতে এলেও বিক্রি করতে চাননি তিনি।

ইতিমধ্যেই ১৬৫ গ্রামের এই হিরের আংটির মালিকের নাম পৌঁছে গিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে। এতদিন অধিক হিরে দিয়ে তৈরি আংটির জন্য এই রেকর্ডটি দখলে রেখেছিলেন হায়দ্রাবাদের আর এক গহনা প্রস্তুতকারক শ্রীকান্ত। তিনি কয়েক বছর আগেই একটি আংটি তৈরি করেছিলেন ৭ হাজার ৮০১টি হিরে দিয়ে।

Advertisement
Previous articleপ্রেমে পড়লে কি না হয়! পরকীয়া প্রেমের জন্য প্রেমিক খুঁড়ল দীর্ঘ সুড়ঙ্গ
Next articleজোড়া ধাক্কায় ঊর্ধ্বে উঠছে পারদ, পৌষেই কি শীতের অবসান?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here