বৃহস্পতি ও শনির যুগলবন্দী দেখতে ভিড় বোলপুরে

Advertisement
অনেকদিন আগে থেকেই চলছিল পরিকল্পনা। নিউজ চ্যানেলগুলিতে প্রায় প্রতিদিনই প্রচার হচ্ছিল ২১ ডিসেম্বরের কথা। মূলত ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই মিলন দৃশ্যের সূচনা ঘটলেও, বৃহস্পতি ও শনি সবচেয়ে কাছে আসবে ২১ ডিসেম্বর। ওই দিন পৃথিবীর দৃষ্টিকোণ থেকে তারা অবস্থান করবে ১ ডিগ্রি কৌণিক দূরত্বে। সন্ধ্যার সূর্য ডোবার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাদের দেখা মিলবে দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশে। হঠাৎ দেখলে মনে হতে পারে, হয়তো একটিই জ্যোতিষ্ক ঝুলে রয়েছে আকাশের গায়ে। – ছবি : জনদর্পণ প্রতিনিধি

বৃহস্পতি ও শনির যুগলবন্দী দেখতে ভিড় বোলপুরে
বৃহস্পতি ও শনির যুগলবন্দী দেখতে ভিড় বোলপুরে 2

জনদর্পণ ডেস্ক : উৎসাহ ছিলই, সেই সঙ্গে ছিল প্রত্যাশাও। তবে এতটা উৎসাহ বোধহয় আশা করেনি ‘জগদানন্দ আকাশ পর্যবেক্ষণ সমিতি’। সংস্থাটি ভেবেছিল, আকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য হয়তো গুটি কয়েক মানুষের সমাগম ঘটবে এদিন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় উপস্থিত হতেই ভুল ভেঙে যায় তাদের। ১০০ জনেরও উপর উপস্থিত হন বৃহস্পতি ও শনির যুগলবন্দী দেখতে।

অনেকদিন আগে থেকেই চলছিল পরিকল্পনা। নিউজ চ্যানেলগুলিতে প্রায় প্রতিদিনই প্রচার হচ্ছিল ২১ ডিসেম্বরের কথা। মূলত ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই মিলন দৃশ্যের সূচনা ঘটলেও, বৃহস্পতি ও শনি সবচেয়ে কাছে আসবে ২১ ডিসেম্বর। ওই দিন পৃথিবীর দৃষ্টিকোণ থেকে তারা অবস্থান করবে ১ ডিগ্রি কৌণিক দূরত্বে। সন্ধ্যার সূর্য ডোবার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাদের দেখা মিলবে দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশে। হঠাৎ দেখলে মনে হতে পারে, হয়তো একটিই জ্যোতিষ্ক ঝুলে রয়েছে আকাশের গায়ে। আর এই দৃশ্যের দেখা মিলছে প্রায় ৮০০ বছর পর। ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে তাদের আর একত্রে দেখা মিলবে না।

খালি চোখেই দেখা যাবে এই দৃশ্য। এমনিতেই রাতের আকাশে চাঁদ, শুক্র গ্রহ ও মঙ্গল গ্রহের পর বৃহস্পতিই সবচেয়ে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হয়ে দেখা দেয়। তাই চিনতে কোনও ভুল হওয়ার কথা নয়। তবে টেলিস্কোপ ব্যবহার করলে ব্যাপারটা বেশ অনেকটাই পরিষ্কার হবে দর্শকদের চোখে। স্পষ্ট দেখা যাবে বৃহস্পতি ও শনির পাশাপাশি অবস্থান। দেখা মিলবে শনির বলয়ও। আকাশ কুয়াশা মুক্ত থাকলে বৃহস্পতির উপগ্রহগুলিকেও দেখতে পাওয়া যাবে চাক্ষুষ।

মূলত এই প্রত্যাশা নিয়েই বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনের একটি আকাশ পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘জগদানন্দ আকাশ পর্যবেক্ষণ সমিতি’ ২১ ডিসেম্বর বোলপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি খোলা স্থানে সন্ধ্যা নাগাদ বৃহস্পতি ও শনির সেই যুগলবন্দী দৃশ্য দেখাতে উপস্থিত হয়েছিল। মহাজাগতিক সেই দৃশ্যটি চাক্ষুষ করতে এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন প্রায় ১০০ জনেরও বেশি আকাশপ্রেমী।

শান্তিনিকেতনের এই ‘জগদানন্দ আকাশ পর্যবেক্ষণ সমিতি’-টি দীর্ঘদিন আকাশ পর্যবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত। তাদের নিজস্ব টেলিস্কোপে বছরের বিভিন্ন সময়ে বিনামূল্যে আকাশ পর্যবেক্ষণ করিয়ে থাকে। আমন্ত্রণ পেলে বোলপুর শহরের বাইরে গিয়েও তারা আকাশ দেখিয়ে থাকেন। সংস্থাটির সম্পাদক রঞ্জন সরকার জানালেন, বৃহস্পতি ও শনির যুগলবন্দী দৃশ্য এদিন বেশ ভালোই উপভোগ করেছেন আকাশপ্রেমীরা। ১০০ জনেরও বেশি মানুষ এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে চারিদিকের চোখ ধাঁধানো আলো আর ধোঁয়াশা আকাশ পর্যবেক্ষণে কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এদিন।

Advertisement
Previous articleকৃতি শিক্ষার্থী ও গুণীজনদের সম্মাননা জানালো কান্দ্রা রাধাকান্ত কুণ্ডু কলেজ
Next articleনতুন স্ট্রেইন নিয়ে উদ্বেগ : নতুন কি পরিবর্তন ঘটলো করোনার?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here