‘বক্সিং ডে টেস্ট’-এর সঙ্গে কিন্তু মুষ্টিযুদ্ধের কোনও সম্পর্ক নেই

Advertisement
এমনিতেই বড়দিনের পরের দিন অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে বরাবরই একটি ছুটি দিন হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। অতীতের এই দিনে ধনীরা গরীব বা দুঃস্থ মানুষদের জন্য কিছু উপহার গুছিয়ে রাখতেন বক্স বা বাক্স বন্দী করে। এছাড়াও গির্জার বাইরে দান সংগ্রহের জন্য একটি বাক্সও রাখা থাকত। সেখান থেকেও সংগৃহীত দান পৌঁছে দেওয়া হত গরীব-দুঃস্থদের কাছে। সম্ভবত এই বক্স বা বাক্স থেকেই এই দিনটির নাম হয়েছে ‘বক্সিং ডে’।

‘বক্সিং ডে টেস্ট’-এর সঙ্গে কিন্তু মুষ্টিযুদ্ধের কোনও সম্পর্ক নেই
‘বক্সিং ডে টেস্ট’-এর সঙ্গে কিন্তু মুষ্টিযুদ্ধের কোনও সম্পর্ক নেই 2

অনলাইন পেপার : অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে শেষ হল ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ‘বক্সিং ডে টেস্ট’-এর প্রথম দিন। দিনটি ছিল মূলত ভারতেরই। অন্তত দিন শেষের ফলাফল দেখে এটাই আন্দাজ করা যায়। এদিন অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ১৯৫ রানে আটকে রাখতে পেরেছে ভারত। দাপটের সঙ্গে বোলিং করেছে যশপ্রীত বুমরা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁরা যথাক্রমে ৫৬ রানে ৪ উইকেট ও ৩৫ রানে ৩ উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়াও অভিষেক ম্যাচে মহম্মদ সিরাজ ২টি মূল্যবান উইকেট নিয়েছেন। বাকি একটি উইকেট নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা।

কোহলি বিহীন এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব সামলাচ্ছেন অজিঙ্ক রাহানে। দিনের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার সবকটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ব্যাট করতে নামে ভারত। তবে দিনের শেষে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ভারত তুলতে পেরেছে ৩৬ রান। শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ভারতের। শুরুতেই মিচেল স্টার্কের বলে শূন্য রানে ফিরতে হয়েছে মায়াংক আগরওয়ালকে। তবে অভিষেক ম্যাচে যথেষ্ট স্বাবলম্বী দেখিয়েছেন শুভমন গিল। ৩৮ বলে ২৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন এই ভারতীয় ওপেনার। অপরদিকে চেতেশ্বর পূজারা খেলছেন ৭ রানে।

ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার এই টেস্ট ম্যাচ প্রথম থেকেই ছিল উত্তেজক। কারণ এটি হল এই দুই দেশের শততম টেস্ট ম্যাচ। আর অপরদিকে এই ম্যাচটিই হল ঐতিহ্যবাহী ‘বক্সিং ডে টেস্ট’। ‘বক্সিং ডে’ মানেই কিন্তু মুষ্টিযুদ্ধের কোনও দিন নয়। এর সঙ্গে ‘বক্সিং’ বা ‘মুষ্টিযুদ্ধ’-এর কোনও সম্পর্কও নেই।

এমনিতেই বড়দিনের পরের দিন অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে বরাবরই একটি ছুটি দিন হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। অতীতের এই দিনে ধনীরা গরীব বা দুঃস্থ মানুষদের জন্য কিছু উপহার গুছিয়ে রাখতেন বক্স বা বাক্স বন্দী করে। এছাড়াও গির্জার বাইরে দান সংগ্রহের জন্য একটি বাক্সও রাখা থাকত। সেখান থেকেও সংগৃহীত দান পৌঁছে দেওয়া হত গরীব-দুঃস্থদের কাছে। সম্ভবত এই বক্স বা বাক্স থেকেই এই দিনটির নাম হয়েছে ‘বক্সিং ডে’।

ছুটির এই দিনটিতে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড সহ আরও অন্যান্য দেশে অতীতে বিভিন্ন ধরণের ক্রীড়ার আয়োজন করা হত। তার মধ্যে ছিল ঘোড়দৌড়, ফুটবল, ক্রিকেট, রাগবি প্রভৃতি। তবে বক্সিং-কে কখনওই এই দিনে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ১৯৫০ সাল থেকে এই ২৬ ডিসেম্বরে শুরু করা হয় টেস্ট ম্যাচের আয়োজন।

তবে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তা ছিল বিক্ষিপ্ত আকারে। ১৯৮০ সাল থেকে নিয়মিত হতে শুরু করে। প্রতি বছরই এই দিনে কোনও না কোনও দেশকে সঙ্গে নিয়ে আয়োজন করা হয় এই বক্সিং ডে টেস্টের। তার মধ্যে চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হওয়া ‘অ্যাসেজ’ সিরিজের একটি ম্যাচ এই দিনেই আয়োজন করা হয়। তবে ১৯৮৯ সালের এই দিনে কোনও টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করেনি অস্ট্রেলিয়া। ওই বছর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে একটি একদিনের ম্যাচ খেলেছিল তারা।

Advertisement
Previous articleনতুন স্ট্রেইন নিয়ে উদ্বেগ : নতুন কি পরিবর্তন ঘটলো করোনার?
Next articleনা ফেরার দেশে চলে গেলেন ‘দি ওয়াট ফ্যামিলি’-র লুক হারপার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here