কৃতি শিক্ষার্থী ও গুণীজনদের সম্মাননা জানালো কান্দ্রা রাধাকান্ত কুণ্ডু কলেজ

Advertisement
পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার অন্তর্গত এই কান্দ্রা রাধাকান্ত কুণ্ডু কলেজটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২০০১ সালে। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কান্দ্রা অঞ্চলেরই ভূমিপুত্র ও বিশিষ্ট সমাজসেবী অমরচাঁদ কুণ্ডু। মূলত এই অমরচাঁদ কুণ্ডু ও কলেজটির অধ্যক্ষ ড. মৃণালকান্তি চট্টোপাধ্যায়ের জোড়া প্রচেষ্টায় খুব অল্পদিনের মধ্যেই কলেজটি বর্তমানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ অন্যতম একটি বৃহৎ আধুনিক কলেজে পরিণত হয়েছে। এখানে পড়ানো হচ্ছে মাস কমিউনিকেশন থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিভিন্ন বিষয়ও। – ছবি : জনদর্পণ প্রতিনিধি

কৃতি শিক্ষার্থী ও গুণীজনদের সম্মাননা জানালো কান্দ্রা রাধাকান্ত কুণ্ডু কলেজ
কৃতি শিক্ষার্থী ও গুণীজনদের সম্মাননা জানালো কান্দ্রা রাধাকান্ত কুণ্ডু কলেজ 2

জনদর্পণ ডেস্ক : গত ২০ ডিসেম্বর ১৫০ জন মেধাবী ও দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা ও আর্থিক অনুদান তুলে দিল কান্দ্রা রাধাকান্ত কুণ্ডু মহাবিদ্যালয়। মহাবিদ্যালয়টির অবস্থান বীরভূম লাগোয়া পূর্ব বর্ধমান জেলার জ্ঞানদাস-কান্দ্রা অঞ্চলে। বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সমাজসেবী অমরচাঁদ কুণ্ডু, অধ্যক্ষ ও ইতিহাসের বিশিষ্ট গবেষক ড. মৃণালকান্তি চট্টোপাধ্যায়, মহারাজ বানেশ্বরানন্দ, মুলুক ভারত সেবাশ্রম সংঘের শান্তি মহারাজ, বঙ্গ বিভূষণ কার্তিক দাস বাউল, আমোদপুর জয়দুর্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় সহ এলাকার আরও একাধিক বিশিষ্ট মানুষ।

অনুষ্ঠানের শুরু হয় প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে। তারপর আমন্ত্রিত অতিথিদের পুস্পস্তবক ও উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের প্রায় ১৫০ জন কৃতি, মেধাবী ও দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীকে সংবর্ধনা ও আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। শুধু এবছর নয়, প্রায় প্রতি বছরই কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার অন্তর্গত এই কান্দ্রা রাধাকান্ত কুণ্ডু কলেজটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২০০১ সালে। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কান্দ্রা অঞ্চলেরই ভূমিপুত্র ও বিশিষ্ট সমাজসেবী অমরচাঁদ কুণ্ডু। মূলত এই অমরচাঁদ কুণ্ডু ও কলেজটির অধ্যক্ষ ড. মৃণালকান্তি চট্টোপাধ্যায়ের যৌথ প্রচেষ্টায় খুব অল্পদিনের মধ্যেই কলেজটি বর্তমানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ অন্যতম একটি বৃহৎ অত্যাধুনিক কলেজে পরিণত হয়েছে। এবং ন্যাকের মূল্যায়নে এটি বি ক্যাটাগরিতে স্থানলাভ করেছে। এখানে পড়ানো হচ্ছে মাস কমিউনিকেশন থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিভিন্ন বিষয়ও। এখানে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি, ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব, একাধিক সভাকক্ষ, অত্যাধুনিক অডিটরিয়াম, স্মার্ট ক্লাসরুম, কম্পিউটার ল্যাব সহ বিভিন্ন বিষয়ের ডিপার্টমেন্টগুলিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো করে সাজানো হয়েছে। বর্তমানে অন্যসব পুরনো কলেজগুলিতেও এই ধরণের পঠন-পাঠনের সুযোগ নেই।

কলেজটির উন্নতিসাধনে এখনও নিরলস কাজ করে চলেছেন সমাজসেবী ও শিল্পপতি অমরচাঁদ কুণ্ডু। অমরবাবু দীর্ঘদিন এলাকায় বিভিন্ন ধরণের সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁরই আর্থিক সহযোগিতায় নিজের এলাকা সহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষালাভের সুযোগ পেয়েছেন। সেই সব ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই আজ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অধ্যাপক হিসাবে। শুধু নিজের অঞ্চলেই নয়, অমরবাবু নিঃশব্দে সমাজসেবামূলক এইসব কাজ করে চলেছেন জেলার বাইরের বিভিন্ন প্রান্তেও। তাঁর এই মহান ক্রিয়াকর্মে আকৃষ্ট হয়ে সুদূর বাংলাদেশ থেকেও তিনি ‘সমাজবন্ধু’ আখ্যা পেয়েছেন।

Advertisement
Previous articleমহাসংযোগ : ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতি ও শনির কৌণিক দূরত্ব হবে ০.১ ডিগ্রি
Next articleবৃহস্পতি ও শনির যুগলবন্দী দেখতে ভিড় বোলপুরে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here