ভোট গণনায় যখন ডেমোক্রাট প্রার্থী জো বাইডেন বেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে। ঠিক তখনই ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হন। এই সময় নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনে কয়েক হাজার মানুষ ভোট গণনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে শোভাযাত্রা শুরু করে। তাদের দাবি, ‘প্রতিটি ভোট গণনা হোক’। তবে এই শোভাযাত্রাটি নির্দিষ্ট কোনও দলের পক্ষ থেকে বের করা হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে সেদেশের একাধিক মিডিয়া সংস্থা। |

অনলাইন পেপার : গত ৩ নভেম্বর শেষ হয়েছে ভোট দান পর্ব। এখন চলছে ভোট গণনা। তবে এর মাঝেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে রীতিমতো সহিংসতার চেহারা নিতে দেখা গেল ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে। বিক্ষোভকারীদের একদলের দাবি ‘সব ভোট গণনা করতে হবে’। ওপর দলটি ভোটে কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ এনে ভোট গণনা থামিয়ে দেওয়ার পক্ষে।
বিক্ষোভের সূত্রপাত ৪ নভেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর থেকে। ভোট গণনায় যখন ডেমোক্রাট প্রার্থী জো বাইডেন বেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে। ঠিক তখনই ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হন। এই সময় নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনে কয়েক হাজার মানুষ ভোট গণনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে শোভাযাত্রা শুরু করে। তাদের দাবি, ‘প্রতিটি ভোট গণনা হোক’। তবে এই শোভাযাত্রাটি নির্দিষ্ট কোনও দলের পক্ষ থেকে বের করা হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে সেদেশের একাধিক মিডিয়া সংস্থা।
কিন্তু স্থানীয় সময় রাত ৮টার পর ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্ক এলাকায় হঠাৎ করেই জো বাইডেনের পোস্টারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগানো হয় ওয়েস্ট ফোর্থ স্ট্রিট ও সিক্সথ এভিনিউ অঞ্চলের একটি ময়লা-আবর্জনার স্তুপেও। ধীরে ধীরে বিক্ষোভ বাড়তে থাকে ওই অঞ্চলে। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভ সরানোর চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের মৃদু সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন বারবার ঘোষণা করা হয়, বিক্ষোভ সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে চলতে দেওয়া যাবে, তবে সেই সমাবেশ হিংসার রূপ নিলে তা বরখাস্ত করা হবে না।
তবে এদিন বিক্ষোভ শুধু একটি অঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। একাধিক অঞ্চলে তা ছড়িয়ে পড়ে। নিউইয়র্কের পাশাপাশি ওয়াশিংটন, লস এঞ্জেলেস, শিকাগো, মিশিগান, অ্যারিজোনা, পোর্টল্যান্ড শহরগুলিতেও বিক্ষোভ মিছিল চলতে থাকে। এমনকি ওয়াশিংটনের লাফায়েত স্কয়ার অঞ্চলে ট্রাম্প ও বাইডেন সমর্থকদের মুখোমুখি অবস্থানে বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৩৮টি। জেতার জন্য প্রয়োজন ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট। ইতিমধ্যে ৪৩টি অঙ্গরাজ্যের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। বাইডেনের পক্ষে গিয়েছে ২৪৩টি ইলেকটোরাল ভোট (তবে বেসরকারি হিসাবে ভোট সংখ্যা ২৬৪টি ধরা হচ্ছে)। ট্রাম্প ২১৪টি ভোট পেয়ে বেশ অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন। এখনও ৭টি অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনা বাকি রয়েছে। যার মধ্যে জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, পেনসিলভেনিয়ার মতো অঙ্গরাজ্য রয়েছে।