ভাইফোঁটায় ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে রক্তদান শিবির গোপ্তায়

Advertisement
রক্তের কোনও বিকল্প নেই। কৃত্রিম উপায়েও তৈরি করা সম্ভব নয় এই ‘লাল লোহিত’-কে। জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তরলের চাহিদা তাই সর্বত্র। গোপ্তা গ্রাম প্রতিবছর ভ্রাতৃ দ্বিতীয়ার দিন বেছে নেয় স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের জন্য। এমনিতেই ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করার একটি আয়োজন। সেই দিনেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের এই আয়োজন ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও গভীর করে তুলবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। – ছবি : জনদর্পণ প্রতিনিধি

ভাইফোঁটায় ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে রক্তদান শিবির গোপ্তায়

জনদর্পণ ডেস্ক : বীরভূম জেলার লাভপুর থানার অন্তর্গত ছোট্ট একটি গ্রাম গোপ্তা। এখানে বসতি রয়েছে মাত্র ৫০-৫৫টি পরিবারের। যাদের অধিকাংশই কৃষিজীবী। আর পাঁচটা গ্রামের মতো এখানেও শ্যামা পুজোর আয়োজন করা হয়। তবে এই গ্রামের শ্যামা পুজোর আয়োজন অনেকটাই ভিন্ন রূপে হয়ে থাকে। শ্যামা পুজোর দুই দিন পরই আসে ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া। যাকে সোজা কথায় ‘ভাইফোঁটা’ বলা হয়। আর এই ভাইফোঁটা উপলক্ষেই প্রতি বছর এখানে আয়োজন করা হয় স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের।

রক্তের কোনও বিকল্প নেই। কৃত্রিম উপায়েও তৈরি করা সম্ভব নয় এই ‘লাল লোহিত’-কে। জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তরলের চাহিদা তাই সর্বত্র। গোপ্তা গ্রাম প্রতিবছর ভ্রাতৃ দ্বিতীয়ার দিন বেছে নেয় স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের জন্য। এমনিতেই ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করার একটি আয়োজন। সেই দিনেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের এই আয়োজন ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও গভীর করে তুলবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

করোনা পরিস্থিতিকে পাশ কাটিয়ে গত ১৭ নভেম্বর আয়োজন করা হয়েছে এই শিবিরের। এদিন প্রথমেই স্যানিটারি স্কোরে রক্তদাতাদের মাক্স দিয়ে এই শিবিরের সূচনা করা হয়। মোট ২৫ জন রক্তদাতা এদিন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন এই শিবিরে। যাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিলেন মহিলা। এব্যাপারে রক্তদাতা রাখী হাজরার মতে, এরকম শুভ কাজে এগিয়ে আসতে পেরে তিনি গর্বিত।

এদিনের রক্তদান শিবিরের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন ইন্দ্রজিৎ পাল। যিনি নিজেই একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি। তবে রক্তদানের ক্ষেত্রে তিনি কখনও পিছপা হন না। এর আগেও তিনি একাধিকবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তের রক্তদান শিবিরে যোগদান করেছেন। একাধিক সেবামূলক কাজের সঙ্গেও তিনি যুক্ত। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যেন এক্ষেত্রে তাঁর কাছে কিছুই নয়।

ইন্দ্রজিৎ পাল জানালেন, আগামী দিনে এরকম আরও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে চান তিনি। এর পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ভাই-বোনদের পাশে দৃঢ় হয়ে দাঁড়ানোরও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।

Advertisement
Previous articleএক দিনেই একই চাঁদ দু’বার ওঠে মঙ্গলে
Next articleবিশ্বের ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর মধ্যে স্থান পেয়েছেন বাঙালি বিজ্ঞানী ড. প্রবীর ঘোষ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here