বাইডেন-ই হতে যাচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট, নিশ্চিত ভোট গণনায়

Advertisement
৭ নভেম্বর সকালের পর থেকে ট্রাম্পকে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে গেলে পেনসিলভেনিয়া সহ আরও তিনটি অঙ্গরাজ্যে জয় পেতে হত। তবে বাইডেনের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ছিল অনেকটাই সহজ। তাঁকে প্রেসিডেন্ট হতে গেলে শুধুমাত্র পেনসিলভেনিয়ার সমস্ত ইলেকটোরাল ভোট পেলেই চলত। কারণ ওই অঙ্গরাজ্যে ছিল ২০টি ইলেকটোরাল ভোট। এদিন তার সবগুলিই পকেটে চলে এলো তাঁর। বাকি রাজ্যগুলির মধ্যে জর্জিয়া, অ্যারিজোনা ও নেভাডাতেও এগিয়ে রয়েছেন তিনি।

বাইডেন-ই হতে যাচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট, নিশ্চিত ভোট গণনায়
বাইডেন-ই হতে যাচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট, নিশ্চিত ভোট গণনায় 2

অনলাইন পেপার : মার্কিন মুলুকে নির্বাচন ছিল গত ৩ নভেম্বর। যা পেরিয়ে গিয়েছে ৪ দিন আগেই। ভোট প্রক্রিয়া শেষ হলেও গণনা প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত। তবে সম্পূর্ণ গণনা শেষ হওয়ার আগেই নিশ্চিতভাবে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছে জো বাইডেন। কারণ ইলেকটোরাল ভোটের ম্যাজিক ফিগার (২৭০টি) ইতিমধ্যেই অতিক্রম করে গিয়েছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে এখনও পর্যন্ত ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ২৭৩টি। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে একাধিক মার্কিন সংবাদ সংস্থা।

তবে এখনও হাল ছাড়তে রাজি নন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পও। বাইডেন ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করার পরেও ট্রাম্প বলে চলেছে, ভোটযুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। তাঁরা এবার আইনি পথে যাবেন। আর সেই যাত্রা শুরু হবে আগামী ৯ নভেম্বর থেকে। ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর যখন বাইডেন বেশ কিছুটা এগিয়ে যান, তখন থেকেই ট্রাম্প ক্রমাগত সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

মার্কিন মুলুকে জনগণের দেওয়া সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় না। এখানে কাজ করে কিছুটা জটিল প্রক্রিয়া। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে কতকগুলি ইলেকটোরাল ভোট থাকে। এই ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ওই অঙ্গরাজ্যের জনগণের সংখ্যার উপর নির্ভর করে। যদি ওই অঙ্গরাজ্যে কোনও একজন প্রার্থী বেশি ভোট পান, তবে ওখানকার সমস্ত ইলেকটোরাল ভোট ওই প্রার্থীর পকেটে চলে যায়। তাই প্রাপ্ত ভোটের মোট সংখ্যার উপর নির্ভর না করে প্রাধান্য দেওয়া হয় ইলেকটোরাল ভোটের প্রাপ্ত মোট সংখ্যাকে। ৫০টি অঙ্গরাজ্যের এই দেশটিতে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পাওয়া প্রয়োজন।

কিন্তু সম্পূর্ণ ভোট গণনা শেষ হতে এখনও কত সময় লাগতে পারে, তা আন্দাজ করা বেশ কঠিন। গার্ডিয়ান সংবাদ সংস্থা ইতিমধ্যেই দাবি করেছে, নির্বাচনের সম্পূর্ণ ফল প্রকাশ হতে কয়েক দিন, কয়েক সপ্তাহ, এমনকি মাসও ছাড়িয়ে যেতে পারে। যদিও তা নির্ভর করছে সম্যক পরিস্থিতির উপর। এবছর করোনা সংক্রমণের কারণে অধিকাংশ (৬৮ শতাংশ) ভোট পড়েছে পোস্টাল ব্যালটে। পোস্টাল ভোটগুলি আবার সঠিক ব্যক্তির কিনা তারও যাচাই-বাছাই রয়েছে। এতে ভোট গণনা প্রক্রিয়া অনেক ধীর গতিতে এগোচ্ছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাইডেনের ঝুলিতে নিশ্চিত করেছে ২৭৩টি ইলেকটোরাল ভোট। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২৫৩টি। বিবিসি সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ভারতীয় সময় ৭ নভেম্বর সকালের পর থেকে ট্রাম্পকে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে গেলে পেনসিলভেনিয়া সহ আরও তিনটি অঙ্গরাজ্যে জয় পেতে হত। তবে বাইডেনের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ছিল অনেকটাই সহজ। তাঁকে প্রেসিডেন্ট হতে গেলে শুধুমাত্র পেনসিলভেনিয়ার সমস্ত ইলেকটোরাল ভোট পেলেই চলত। কারণ ওই অঙ্গরাজ্যে ছিল ২০টি ইলেকটোরাল ভোট। এদিন তার সবগুলিই পকেটে চলে এলো তাঁর। বাকি রাজ্যগুলির মধ্যে জর্জিয়া, অ্যারিজোনা ও নেভাডাতেও এগিয়ে রয়েছেন তিনি। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, জো বাইডেন-ই হতে যাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট। এর পাশাপাশি কমলা হ্যারিস হতে যাচ্ছেন প্রথম কোনও নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট।

Advertisement
Previous articleস্কুল বন্ধ দীর্ঘদিন, সবুজায়নের এটাই সেরা সময়
Next article‘আলোক দূষণ’-এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here