এক দিনেই একই চাঁদ দু’বার ওঠে মঙ্গলে

Advertisement
মঙ্গলের বৃহত্তম উপগ্রহ অর্থাৎ চাঁদ ফোবোস রয়েছে মঙ্গল থেকে মাত্র ৬০০০ কিলোমিটার দূরত্বে। সেখান থেকেই সে মঙ্গলকে একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৭ ঘণ্টা ৩৯.২ মিনিট। ওই অল্প সময়ে ‘বেচারা’ মঙ্গল নিজেই তার আহ্নিক গতি সম্পূর্ণ করতে পারে না। তাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফোবোসকে দুই বার উদয় হতে দেখা যায় মঙ্গলের আকাশে। মঙ্গলের আরও একটি উপগ্রহ রয়েছে, যার নাম ডেমিনোস। ফোবোসের আকৃতি যেখানে ১১ কিলোমিটার চওড়া, ডেমিনোস হল তার থেকেও প্রায় সাত গুণ ছোটো।

এক দিনেই একই চাঁদ দু’বার ওঠে মঙ্গলে
Image by Wikilmages from Pixabay

রঞ্জন সরকার : ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি চাঁদকে দুই বার উদয় হতে দেখা একই সঙ্গে রহস্যের ও মজার ব্যাপার। আর এই অভূতপূর্ব ঘটনাটি প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে পৃথিবীরই প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলে।

মঙ্গলের বৃহত্তম উপগ্রহ অর্থাৎ চাঁদ ফোবোস রয়েছে মঙ্গল থেকে মাত্র ৬০০০ কিলোমিটার দূরত্বে। সেখান থেকেই সে মঙ্গলকে একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৭ ঘণ্টা ৩৯.২ মিনিট। ওই অল্প সময়ে ‘বেচারা’ মঙ্গল নিজেই তার আহ্নিক গতি সম্পূর্ণ করতে পারে না। তাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফোবোসকে দুই বার উদয় হতে দেখা যায় মঙ্গলের আকাশে।

মঙ্গলের আরও একটি উপগ্রহ রয়েছে, যার নাম ডেমিনোস। ফোবোসের আকৃতি যেখানে ১১ কিলোমিটার চওড়া, ডেমিনোস হল তার থেকেও প্রায় সাত গুণ ছোটো। কিন্তু ডেমিনোসের অবস্থান ফোবোসের থেকে বেশ কিছুটা দূরে। ১৮৭৭ সালে মার্কিন অ্যাস্ট্রোনমার ‘অ্যাসাফ হল’ এই উপগ্রহ দুটি আবিষ্কার করেছিলেন। সে সময় ফোবোসের নামকরণ করা হয়েছিল গ্রীক দেবতা ‘ফোবোস’-এর নামে।

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’ ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলের কক্ষপথে ‘মম’ (মার্স অরবিটার মিশন)-কে স্থাপন করেছিল। গত ১ জুলাই এই ‘মম’ ফোবোসের একটি ছবি তুলে পাঠায়। সেসময় মম ও ফোবোসের দূরত্ব ছিল প্রায় ৪২০০ কিলোমিটার মাত্র। সম্প্রতি সেই ছবিটি প্রকাশ করেছে ইসরো। তাতে দেখা মিলেছে ফোবোসের গায়ের গভীর গর্ত, খাদ, পাহাড় সহ আরও অনেক কিছু। ফোবোসের সবচেয়ে বড়ো খাদটির নাম ‘স্টিকনে’।

ইসরোর মঙ্গল মিশন মাত্র ছয় মাসের জন্য বরাদ্দ ছিল। কিন্তু স্যাটেলাইটটিতে জ্বালানি বেশি থাকায় সেটি এখনও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। সেবার ‘মম’-কে প্রথমবারের চেষ্টাতেই মঙ্গলের কক্ষপথে স্থাপন করে বিরল নজির সৃষ্টি করেছিল ইসরো। আর সঙ্গে সঙ্গেই নিজেদের এলিট ক্লাবেও নাম লিখিয়ে নিতে পেরেছিল। ‘মম’-এর পাঠানো তথ্য উৎসাহের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে নাসাও।

যাইহোক, গত ১৪ অক্টোবর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এসেছিল মঙ্গল। তখন চাঁদের পর মঙ্গলই ছিল পৃথিবীর রাতের আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল কোনও জ্যোতিষ্ক। এই দূরত্ব এখন আবার ক্রমশই বাড়তে শুরু করেছে। যদিও এখনও রাতের আকাশে যথেষ্ট জ্বলজ্বল করছে মঙ্গল। প্রতি সন্ধ্যায় আকাশ প্রেমীরা দু’চোখ ভরে দেখছে তাকে। তবে বড়ো-সড়ো টেলিস্কোপ ছাড়া পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ফোবোস বা ডেমিনোসকে দেখা একেবারেই অসম্ভব।

Advertisement
Previous articleমাত্র একটি পায়রার দাম ২০ লাখ ডলার! কিন্তু কেন?
Next articleভাইফোঁটায় ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে রক্তদান শিবির গোপ্তায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here