বর্ধমানের একটি পুকুর থেকে মিলেছে এই বিরল প্রজাতির হলুদ কচ্ছপটি। এটির খোলসসহ দেহের সম্পূর্ণ অংশই প্রায় উজ্জ্বল হলুদ রঙের। গত ২৭ অক্টোবর বন দফতরের কর্মকর্তারা গিয়ে সেটিকে উদ্ধার করেন। বন দফতরের কর্মকর্তা দেবাশিষ শর্মা তার একটি ছবিও তার টুইটারে প্রকাশ করেছেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও এই হলুদ রঙের কচ্ছপ সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। এটি কোনও নতুন প্রজাতির কচ্ছপ কিনা সে সম্পর্কেও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। |

জনদর্পণ ডেস্ক : পিঠের ওপর নিজের গোটা সংসার নিয়ে যে প্রাণীটি অত্যন্ত শ্লথ গতিতে ঘুরে বেড়ায়, সেটা যে কচ্ছপ তা আর কাউকে বলে দিতে হয় না। খুব ছোটোবেলাতে তার সঙ্গে প্রায় সকলেরই পরিচয় ঘটে যায় কচ্ছপ আর খরগোশের দৌড় প্রতিযোগিতার গল্পের মধ্য দিয়ে। তবে যে সমস্ত কচ্ছপের সঙ্গে সবার সাক্ষাৎ ঘটে তার রঙ কালচে হয়ে থাকে। অন্য কোনও রঙের হলে সেটিকে বিরল বলা হয়।
এবার এরকমই একটি বিরল কচ্ছপের দেখা মিলল বর্ধমান জেলায়। প্রানীবিদরা কচ্ছপটিকে বিরল বলছেন, তার কারণ এর রঙ সম্পূর্ণ উজ্জ্বল হলুদ রঙের। তবে ভারতে এই প্রথমবার নয়। এর আগে গত জুলাই মাসে ওড়িশার বালাসোরে একটি চাষের ক্ষেতের আলপথের ধারে মিলেছিল এই একই রকমের আর একটি হলুদ কচ্ছপ।
বর্ধমানের একটি পুকুর থেকে মিলেছে এই বিরল প্রজাতির হলুদ কচ্ছপটি। এটির খোলসসহ দেহের সম্পূর্ণ অংশই প্রায় উজ্জ্বল হলুদ রঙের। গত ২৭ অক্টোবর বন দফতরের কর্মকর্তারা গিয়ে সেটিকে উদ্ধার করেন। বন দফতরের কর্মকর্তা দেবাশিষ শর্মা তার একটি ছবিও তার টুইটারে প্রকাশ করেছেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়।
যদিও এই হলুদ রঙের কচ্ছপ সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। এটি কোনও নতুন প্রজাতির কচ্ছপ কিনা সে সম্পর্কেও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তবে বন দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি একটি বিরল প্রজাতির কচ্ছপ। তাদের আরও অনুমান, জিনগত পরিবর্তন থেকেও কচ্ছপটি হলুদ হতে পারে।
এমনিতেই কচ্ছপ ‘টেসটিউডাইনস’ বর্গের জলচর সরীসৃপ প্রাণী। তবে জলচর হওয়া সত্ত্বেও স্থলে ঠিক কুমিরের মতো খুব সাবলীলভাবে এরা ঘুরে বেড়াতে পারে। আবার স্থলেই এরা ডিম পাড়ে। তাই প্রাণীবিদদের অনেকেই এদেরকে স্থল ও জলচরের মধ্যবর্তী প্রাণী বলেছেন। এদের গতি খুবই কম। কিন্তু আয়ু অনেক বেশি। কোনও কোনও কচ্ছপ প্রায় ২০০ বছরও জীবিত থেকে অতিক্রান্ত করেছে। কলকাতার আলীপুর চিড়িয়াখানায় ‘আদৃতা’ নামের একটি মেয়ে কচ্ছপ প্রায় ১৫০ বছর জীবিত ছিল (অনেকের মতে মৃত্যুকালে আদৃতার বছর ছিল ২৫০ বছর প্রায়)। ২০০৬ সালের ২৩ মার্চ সে মারা যায়।
কচ্ছপের প্রায় ৩০০ প্রজাতি রয়েছে বর্তমান পৃথিবীতে। তবে তাদের অধিকাংশই এখন বিলুপ্তপ্রায়। বিলুপ্তির অন্যতম কারণ মানুষের লোলুপদৃষ্টি। প্রশাসনিক নির্দেশে কচ্ছপ ও তার মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করলেও খোলা বাজারে আজও এই বিলুপ্ত প্রাণীটিকে বিক্রয় হতে দেখা যায়।