আমেরিকার জলে মিলেছে মগজ খেকো জীবাণু, সতর্কতা জারি

Advertisement
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস প্রদেশের লেক জ্যাকসন শহরের পানীয় জলে মিলেছে নায়গলেরিয়া ফাওলেরি নামের এক ধরণের জীবাণু। যা এক ধরণের অ্যামিবা। একে মগজ খেকো জীবাণুও বলা হয়ে থাকে। নাকের মধ্য দিয়ে এই জীবাণু মস্তিস্কে প্রবেশ করে। তারপর ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। পৃথিবীর যে কোনও দেশের সামান্য উষ্ণ জলে এই জীবাণু জন্মাতে পারে। – ছবি : সংগৃহীত

germs-found-in-american-waters-warning-issued

অনলাইন পেপার : ‘এক করোনায় রক্ষা নেই, ফাওলেরি দোসর’। আমেরিকার যেন ঠিক এই রকমই অবস্থা এখন। একদিকে যেমন করোনা নামক মারণ ভাইরাস, অপরদিকে নতুন উৎপাত শুরু করেছে ফাওলেরি নামের মগজ খেকো এক কোষী জীবাণু।

নায়গলেরিয়া ফাওলেরি এক ধরণের এক কোষী অ্যামিবা। এরা যে কোনও দেশের সামান্য উষ্ণ মিষ্টি জলে স্বাভাবিকভাবেই জন্মাতে পারে। দূষিত জলেই এরা বেশি জন্মায়। এর আগে আফ্রিকার একাধিক দেশের পানীয় জলে এদের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গিয়েছে। সাধারণ চোখে দেখা না গেলেও এদের ভয়ানক মারণ ক্ষমতা রয়েছে। সাধারণভাবে পান করা হলে শারীরিক কোনও সমস্যা নাও ঘটতে পারে। কিন্তু নাকের ভিতর দিয়ে ফাওলেরিয়া উপস্থিত থাকা জল প্রবেশ করালে সবচেয়ে মুশকিলে পড়তে হতে পারে। কারণ নাকের ভিতর দিয়েই ফাওলেরিয়া মস্তিস্কে প্রবেশ করে।

এদের মগজ খেকো জীবাণুও বলা হয়। কারণ মস্তিস্কে প্রবেশের পর মগজের কার্যকারিতা নষ্ট করে দিতে পারে। বিবিসি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ফাওলেরিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর, বমিভাব বা বমি হতে পারে। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তি অনেক ক্ষেত্রেই এক সপ্তাহের মধ্যেই মারা যেতে পারেন।

বিবিসির ওই রিপোর্ট থেকে আরও জানা যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস প্রদেশের ৮টি শহরে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতের দিকে ফাওলেরিয়া বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। শহরের বাসিন্দাদের জানানো হয়েছিল, তাঁরা যেন কেউই শৌচকর্ম ছাড়া অন্য কোনও কাজে জল ব্যবহার না করেন। কিন্তু পরের দিনই লেক জ্যাকসন শহর ছাড়া বাকি ৭টি শহর থেকে ওই সতর্কবার্তা তুলে নেওয়া হয়। বাসিন্দাদের জানানো হয়, পানীয় জল ব্যবহারের পূর্বে নাগরিকরা যেন ভালো করে জল ফুটিয়ে নেন। স্নানের সময় বিশেষভাবে নজর দিতে, যাতে কোনওভাবেই জল নাক বা মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ না করে। লেক জ্যাকসন শহরের জল পরীক্ষা করার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে ওই শহরের জল জীবাণু মুক্ত করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্পূর্ণ জল জীবাণু মুক্ত করা হলেই আবার পুনরায় জল সরবরাহ করা শুরু হবে। সূত্রে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ার দিকে বছর ছয়ের একটি ছেলে জীবাণু সংক্রান্ত কারণে মারা গিয়েছিল। তারপরই শুরু হয়েছিল তদন্ত।

Advertisement
Previous articleলুপ্তপ্রায় কাঠের পালকি ও ঘোড়া নাচের উপকরণ তৈরি নিয়ে বিশেষ কর্মশালা সৃজনীতে
Next articleপ্রথমবারের জন্য চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন কোনও নারী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here