হরিয়ানা ও দিল্লী সাইবার অপরাধ দমন বিভাগের বিশেষ টিম গত ২৮ আগস্ট জোড়া অভিযানে জামতাড়া ও রাজনগর অঞ্চল থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে তারা সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু এটিএম কার্ড, বেনামী সিম কার্ড ও হ্যান্ডসেট উদ্ধার করা হয়েছে। এদিনই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। – ছবি : জনদর্পণ প্রতিনিধি |
অরবিন্দ মালি : গত ২৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে চলা সাপ্তাহিক লকডাউনের দিনই জোড়া অভিযানে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া ও বীরভূম জেলার রাজনগর থেকে বেশ কয়েকজন সাইবার অপরাধীকে গেফতার করেছে হরিয়ানা ও দিল্লীর সাইবার অপরাধ দমন বিভাগের বিশেষ টিম। এদিন বীরভূমের রাজনগর ব্লকের বাঁশবুনি ও মুক্তিপুর থেকে দুই অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লী সাইবার অপরাধ দমন বিভাগের পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, তারা জামতাড়া গ্যাং-এর সাথে যুক্ত। ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু বেনামী সিম কার্ড, এটিএম (ATM) কার্ড ও হ্যান্ডসেট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ধৃতদের বিরুদ্ধে ফিসিং কলের মাধ্যমে Axis ও icici ব্যাঙ্কের বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরির অভিযোগ রয়েছে। তবে তারা এখনও পর্যন্ত কত টাকা চুরি করেছে, তা সঠিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি। এদিনই ধৃত দুই অভিযুক্তকে সিউড়ি আদালতে তোলা হয় ও তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তের সুবিধার জন্য প্রয়োজনে ধৃতদের জামতাড়া নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
অন্যদিকে বেশ কয়েক দিনের অভিযানে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া থেকে হরিয়ানা পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন বিভাগের এক স্পেশাল টিম ৫ জন দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। বার বার বিভিন্ন রিপোর্টে জামতাড়া গ্যাং-এর সাম্প্রতিক সক্রিয় হওয়ার ঘটনা সামনে এলেও এতদিন কোনও অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই এই অভিযান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সাম্প্রতিক দেশে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া সাইবার অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে।
হরিয়ানা পুলিশের তদন্তে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, জামতাড়া গ্যাং সম্প্রতি তাদের যাবতীয় ফিসিং-এর কাজ কাজ e-sim-এর মাধ্যমে ঘটিয়েছে, যা বিশেষজ্ঞ মহলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, এত উন্নত এবং নতুন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে কীভাবে তারা এই কাজ করতে সক্ষম হচ্ছে? কে বা কারা তাদের মদত দিচ্ছে?
পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, e-sim-এর মাধ্যমে দুস্কৃতীরা ৩০০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে প্রায় ৮৬ লাখেরও বেশি টাকার প্রতারণা করেছে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের অজান্তেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি হয়ে যাচ্ছে। তদন্ত অনুযায়ী আরও জানা গিয়েছে, অত্যন্ত পরিকল্পনার সাথে অপরাধীরা paytm payments bank, airtel payments bank, ও বিভিন্ন ই-ওয়ালেট এর দ্বারা টাকা তুলে অনলাইনে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার মাধ্যমে লেনদেন করছে।
তদন্তকারী দল এই বিষয়ে অবগতি ও সিকিউরিটি সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে ওই সমস্ত পেমেন্টস ব্যাঙ্কগুলোকে শমন করেছে।