মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ, প্রথম দশে বীরভূমের ছয়

Advertisement
এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম দশে স্থান পেয়েছে মোট ৮৪ জন। ৬৯৪ নাম্বার পেয়ে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউটের অরিত্র পাল প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বীরভূম জেলার ৬ জন প্রথম দশে স্থান পেয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জনই বীরভূম জেলা স্কুলের ছাত্র। বীরভূম জেলা স্কুলের অগ্নিভ সাহা ৬৮৯ নাম্বার পেয়ে এককভাবে প্রথম দশের চতুর্থ স্থান লাভ করেছে। – ফাইল চিত্র

%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A7%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0 %25E0%25A6%25AB%25E0%25A6%25B2 %25E0%25A6%25AA%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B6 %25E0%25A6%25AA%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25A5%25E0%25A6%25AE %25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25B6%25E0%25A7%2587 %25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%2580%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25AD%25E0%25A7%2582%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0 %25E0%25A6%259B%25E0%25A7%259F

জনদর্পণ ডেস্ক : প্রকাশিত হল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিকের ফলাফল। ১৫ জুলাই ফলাফল ঘোষণা করলেন পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি এবং শেষ হয়েছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি। যদিও মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা করার কথা ছিল গত মে মাসে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের জন্য দিন পিছিয়ে নেওয়া হয়। গত ১৪ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন ১৫ জুলাই মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
     এবছর মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৩ হাজার ৬৬৬ জন। যা গত বছরের তুলনায় কম ছিল ৩৩ হাজার। মোট পাশের হার ৮৬.৩৪ শতাংশ, অর্থাৎ মোট পাশ করেছে ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩০৫ জন। যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। মোট ছাত্রের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৭৯ জন। তার মধ্যে পাশের হার ৮৯.৮৭ শতাংশ। ছাত্রীর সংখ্যা এবছর ছাত্রের তুলনায় বেশি ছিল, ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯ জন। তবে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি থাকলেও পাশের হার ছাত্রদের তুলনায় কিছুটা কম, ৮৩.৪৭ শতাংশ। পাশের হার সর্বাধিক হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে, ৯৬.৫৯ শতাংশ। এরপর পশ্চিম মেদিনীপুর (৯২.১৬ শতাংশ), কলকাতা (৯১.০৭ শতাংশ)।
     এবছর মাধ্যমিকে প্রথম দশে স্থান পেয়েছে মোট ৮৪ জন। ৭০০-র মধ্যে ৬৯৪ নাম্বার পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউটের অরিত্র পাল। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে ২ জন। ৬৯৩ নাম্বার পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে বাঁকুড়ার ওন্দা হাইস্কুলের সায়ন্তন গড়াই এবং পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কাশীরাম দাস ইন্সটিটিউশনের অভীক দাস। ৬৯০ নাম্বার পেয়ে তৃতীয় হয়েছে ৩ জন। তারা হল বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহি হাইস্কুলের সৌম্য পাঠক, উত্তর ২৪ পরগনার বহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের অরিত্র মাইতি ও পূর্ব মেদিনীপুরের ভবানীচক হাইস্কুলের দেবস্মিতা মহাপাত্র।
     প্রথম দশের ৮৪ জনের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ১ জন। এরপর দ্বিতীয় স্থান ২ জন, তৃতীয় স্থান ৩ জন, চতুর্থ স্থান ১ জন, পঞ্চম স্থান ৪ জন, ষষ্ঠ স্থান ১২ জন, সপ্তম স্থান ১৭ জন, অষ্টম স্থান ১১ জন, নবম স্থান ১০ জন ও দশম স্থান ২৩ জন অধিকার করেছে।
     এবছর প্রথম দশে বীরভূম জেলা থেকে স্থান পেয়েছে ৬ জন। তার মধ্যে ৪ জনই বীরভূম জেলা স্কুলের ছাত্র। বীরভূম জেলা স্কুলের অগ্নিভ সাহা ৬৮৯ নাম্বার পেয়ে এককভাবে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। এরপর প্রথম দশের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বীরভূম জেলা স্কুলেরই রাজিবুল ইসলাম ও অর্চিষ্মান সাহা। তাদের প্রাপ্ত নাম্বার ৬৮৭। ৬৮৬ নাম্বার পেয়ে বীরভূম জেলা স্কুলেরই ওপর আর এক ছাত্র অরণি চট্টোপাধ্যায় প্রথম দশের সপ্তম স্থান লাভ করেছে। এরই সঙ্গে সপ্তম স্থানে রয়েছে রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের শুভদীপ চন্দ্র। প্রথম দশের দশম স্থানে রয়েছে বিকেটিপিপি প্রবীর সেনগুপ্ত বিদ্যালয়ের জুনেইদ হাসান। তার প্রাপ্ত নাম্বার ৬৮৩।
     এদিন মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা করা হলেও মার্কশিট দেওয়া হয়নি। মার্কশিট স্কুল থেকে দেওয়া হবে ২২ জুলাই ও ২৩ জুলাই। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে মার্কশিট তুলে দেওয়া হবে না। নির্দিষ্ট দিনে মার্কশিট তুলে দেওয়া হবে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকের হাতে।
Advertisement
Previous articleস্কুল খুললেও লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী হয়তো আর শিক্ষাক্ষেত্রেই ফিরবে না
Next articleগর্ভের শিশুও আক্রান্ত হতে পারে করোনায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here