Advertisement
রাশিয়ার সেচেনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি তৈরি করছে করোনার ভ্যাকসিন। ইউনিভার্সিটিটি দাবি করছে, তারা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সবগুলি ধাপ প্রায় অতিক্রম করে ফেলেছে। এবং তা সফলও হয়েছে। রাশিয়া ছাড়াও করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের একাধিক সংস্থা। ভারতও ভ্যাকসিন তৈরিতে এগিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। – ছবি : সংগৃহীত
|
অনলাইন পেপার : বিশ্ব জুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো করোনায় লাগাম টানতে এই মুহূর্তে প্রায় ২০০টিরও বেশি সংস্থা ভ্যাকসিন আবিস্কারে ব্যস্ত। বিভিন্ন দেশ থেকে মাঝে মধ্যে তার আভাসও পাওয়া যাচ্ছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, চিন, জার্মানি সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন পরীক্ষার ট্রায়ালও শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতও কয়েক কদম এগিয়ে গিয়েছে ভ্যাকসিন পরীক্ষার ক্ষেত্রে। এরই মধ্যে রাশিয়া-ই সর্ব প্রথম দাবি করছে, তারা করোনা ভ্যাকসিনের সবগুলি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে শেষ করে ফেলেছে।
যদি রাশিয়ার এই ট্রায়াল সফলভাবে শেষ হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই নিশ্চিতভাবে ধরে নেওয়া যায়, তারা অন্যদের থেকে করোনা ভ্যাকসিন আবিস্কারে বেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা ‘স্পুটনিক’-এর সূত্র অনুযায়ী, সেদেশের সেচেনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি দাবি করছে, একাধিক স্বেচ্ছাসেবীর ওপর ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানো হয়েছে এবং এই পরীক্ষাই হল পৃথিবীর প্রথম সফল করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা।
রাশিয়ায় এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করছে গামালি ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমাইলজি এন্ড মাইক্রোবাইয়োলজি এবং নিয়ন্ত্রণ করছে সেদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেচেনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি। ভ্যাকসিনটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ প্রথম শুরু হয় গত ১৮ জুন থেকে। যে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন তাদের প্রথম দলটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে আগামী ১৫ জুলাই এবং দ্বিতীয় দলটিকে ছাড়া হবে ২০ জুলাই।
স্পুটনিক সংবাদ সংস্থা থেকে আরও জানা যাচ্ছে, সেচেনভ ইউনিভার্সিটির ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল প্যারাসাইটোলজির পরিচালক আলেকজান্দ্রার লুকাসেভ বলছেন, তাঁদের এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল, ভ্যাকসিনটি মানব শরীরে যথেষ্ট নিরাপদ কিনা, তা পরখ করার। তবে সেই পরীক্ষা সফল হয়েছে।
রাশিয়া ছাড়াও বিশ্বের একাধিক সংস্থা করোনা ভ্যাকসিনের শেষ মুহূর্তের ট্রায়াল নিয়ে কাজ করছে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি তাদের ভ্যাকসিন পরীক্ষার তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। তৃতীয় পর্যায় অর্থাৎ শেষ ধাপে রয়েছে চিনের উহান ইন্সটিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টও। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াও ভ্যাকসিন আবিস্কারে বেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।
ভারতের ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর যৌথভাবে করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কারের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ভারতের এই পরীক্ষা রয়েছে এখন প্রথম পর্যায়ে। যদিও কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল, আগামী ১৫ আগস্ট ভারত বের করতে চলেছে করোনার প্রতিষেধক বা টিকা। কিন্তু তা নিয়েও বিভিন্ন মহল থেকে ছুটে এসেছিল একাধিক প্রশ্ন।
Advertisement