আফ্রিকার বতসোয়ানায় গত ২ মাসের মধ্যে মৃত্যু ঘটেছে প্রায় ৩৫০টিরও বেশি হাতির। যা অত্যন্ত অস্বাভাবিক বলেই ধারণা করা হচ্ছে। চোরা শিকারিদের প্রসঙ্গ অবশ্য নাকচ করে দিয়েছে বতসোয়ানা প্রশাসন। কারণ হাতিগুলির দাঁত অক্ষত রয়েছে। তবে রোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। – ছবি : সংগৃহীত |
অনলাইন পেপার : হাতির মৃত্যু ঘিরে এখন তোলপাড় সমগ্র আফ্রিকা। একটি-দুটি নয়, মৃত্যু হয়েছে শত শত হাতির। তবে কি কারণে এইভাবে হাতিগুলির মৃত্যু ঘটেছে তার কারণ অবশ্য এখনও জানা যায়নি। চলছে বিস্তারিত তদন্ত। যার সম্পূর্ণ রিপোর্ট হাতে পেতে এখনও অনেকটাই সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আফ্রিকার বতসোয়ানায়। দেশটির অকাভাঙ্গো ব-দ্বীপ অঞ্চলে গত ২ মাসে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু ঘটেছে প্রায় ৩৫০টিরও বেশি হাতির। যা অত্যন্ত অস্বাভাবিক বলেই মনে করা হচ্ছে। বিবিসি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, এতগুলি হাতি কীভাবে মারা গেল, সে সম্পর্কে কেউই কোনও আলোকপাত করতে পারছেন না। বতসোয়ানার ল্যাবরেটরিতে এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। সম্পূর্ণ রিপোর্ট হাতে পেতে বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
গত ২ জুলাই প্রকাশিত ওই রিপোর্ট থেকে আরও জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি সর্বপ্রথম নজরে আসে স্থানীয় কিছু পরিবেশ সংরক্ষণকারীদের। তাঁরা মে মাসের প্রথম দিকে ওই অঞ্চলের ওপর দিয়ে বিমান ভ্রমণ করছিলেন। তখনই তাঁদের নজরে পড়ে গোটা বিষয়টি। ওই দিন ৩ ঘণ্টার ভ্রমণে তাঁরা ১৬৯টি হাতির মরদেহ দেখতে পান। ফিরে এসে বিষয়টি বতসোয়ানার প্রশাসনকেও জানান। ওই দিনের ১ মাস পর আবার তদন্ত শুরু করলে আরও কিছু হাতির মরদেহ দেখতে পান তাঁরা। সব মিলিয়ে মরদেহ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে প্রায় ৩৫০টিরও বেশি।
রহস্য জমাট বাঁধছে এইখানেই। গত ২ মাসের মধ্যে কীভাবে এত হাতির মৃত্যু ঘটল তা কোনও মহলই বলতে পারছে না। উঠছে চোরা শিকারিদের প্রসঙ্গও। কিন্তু বতসোয়ানার প্রশাসন প্রসঙ্গটি বাতিল করে দিয়েছে। প্রশাসনের দাবি, চোরা শিকারিদের কারণে যদি হাতিগুলির মৃত্যু হত তাহলে হাতির দাঁত অক্ষত থাকত না। সাধারণত চোরা শিকারিরা হাতির দাঁতের জন্যেই হাতি শিকার করে। চোরা শিকারিদের দেওয়া বিষ প্রয়োগেও হাতিগুলির মৃত্যুর সম্ভাবনা কম। কারণ বিষ প্রয়োগ হলে অন্য পশুদেরও মৃত্যু ঘটত, যা হয়নি।
তবে কোনও প্রকার রোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই। এ ব্যাপারে ন্যাশনাল পার্ক রেসকিউ-এর কর্মকর্তা নিয়াল ম্যাককান হাতিরগুলির অবস্থা দেখে ধারণা করছেন, হাতিগুলির স্নায়বিক প্রক্রিয়াতে কোনও ব্যাঘাত ঘটছে হয়তো। আবার করোনার প্রসঙ্গও সরিয়ে রাখা যাচ্ছে না। এমনিতেই করোনা প্রাণীদেরও আক্রান্ত করছে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই জানা যাবে না।