Advertisement
স্কটল্যান্ডের কেরেরা দ্বীপে একটি প্রাচীন জীবাশ্মের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকেরা। তাতে ফুটে রয়েছে কেন্নো জাতীয় একটি প্রাচীন প্রাণীর ছাপ। গবেষকদের ধারণা, এই প্রাণীটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন স্থলচর প্রাণী।
|
অনলাইন পেপার : বিজ্ঞান বলছে, এই বিশ্বে প্রায় ৫৪-৫৫ কোটি বছর আগে প্রথম প্রাণের আবির্ভাব ঘটেছিল। আর তা ঘটেছিল সমুদ্রের জলে। প্রথমে এক কোষী, তারপর বহু কোষী জীবদের আবির্ভাব ঘটে পৃথিবীতে। সমুদ্রে প্রাণ সৃষ্টির প্রায় ১০ কোটি বছর পর অর্থাৎ বর্তমান সময় থেকে প্রায় ৪৪-৪৫ কোটি বছর আগে শুরু হয় স্থলভাগে প্রাণের আবির্ভাব ঘটা। গবেষকদের ধারণা, সম্ভবত মস জাতীয় কোনও উদ্ভিদের থেকেই এই স্থলভাগে শুরু হয়েছিল প্রাণ সৃষ্টির পর্ব। যা কালক্রমে জটিল থেকে আরও জটিলতর প্রাণীদের উৎপত্তি ঘটায়।
গবেষকরা এবার সম্ভবত খোঁজ পেয়েছেন পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন কোনও প্রাণীর। এরকমই একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে হিস্টোরিক্যাল বায়োলজি-তে। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যাচ্ছে, গবেষকরা স্কটল্যান্ডের কেরেরা দ্বীপে একটি প্রাচীন জীবাশ্মের সন্ধান পেয়েছেন। যেটি প্রায় ৪২ কোটি ৫০ লক্ষ বছরের পুরনো। ওই জীবাশ্মে কেন্নো জাতীয় একটি প্রাণীর ছাপ ফুটে রয়েছে স্পষ্টভাবে। তাঁরা জীবাশ্মটির নাম দিয়েছেন কাম্পেরিস ওবেনেসিস।
সিলুরিয়ান যুগের ওই জীবাশ্মটির সঙ্গে কেন্নো জাতীয় প্রাণীর সাদৃশ্য রয়েছে অনেকটাই। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, বর্তমানের কেন্নোদের সঙ্গে ওই প্রাণীটির বংশ পরম্পরার কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁরা ধারণা করছেন, ওই প্রাণীটির শরীর খণ্ড খণ্ড আকারে সন্ধিবদ্ধ ছিল। তার চোখ ছিল পুঞ্জাক্ষির এবং মাথার সামনের দিকে অ্যান্টেনাও ছিল। যা দিয়ে তারা স্পর্শ অনুভূতির ক্ষমতা লাভ করত। ২.৫ সেন্টিমিটারের ওই প্রাণীটির সমস্ত শরীর ঢাকা ছিল নরম কাইটিন দিয়ে।
প্রাণীটি অর্থোপোডা পর্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে মনে করছেন গবেষকেরা। এই পর্বের প্রাণীরা ছিল তখনকার সময়ের সবচেয়ে বড়ো আকারের স্থলচর প্রাণী। তারা সম্ভবত জলাশয়ের কাছাকাছি থাকতে বেশি পছন্দ করত। এদের খাদ্য ছিল মরে যাওয়া অন্য প্রাণীদের পচা শরীর অথবা উদ্ভিদের পচা অংশ। এরা পৃথিবীর যে কোনও রকম পরিবেশে স্বচ্ছন্দে বেঁচে থাকতে পারত।
Advertisement