Advertisement
অনলাইন পেপার : সৌরমণ্ডলে যে চারটি ‘গ্যাসীয় দানব’ রয়েছে তার মধ্যে বৃহস্পতি সর্ববৃহৎ (অপরগুলি হল শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন)। আবার সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে বড়ো গ্রহও কিন্তু এই বৃহস্পতি। একে নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের উৎকণ্ঠার শেষ নেই। সুপ্রাচীনকাল থেকেই এই জ্যোতিষ্কটি পৃথিবীবাসীর কাছে তেমন অচেনা নয়। ভারতীয় প্রাচীন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছেও ছিল সুপরিচিত। আজও একে নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলছে নিরলস গবেষণা। তবে সেই গবেষণায় এখন বড্ড বেশি আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে।
আর তার ফলপ্রসূ, সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা উপস্থাপন করলেন বৃহস্পতির বেশ কিছু মূল্যবান নতুন ছবি। বিবিসি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেল, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষণার জন্য এই ছবিগুলি তোলা হয়েছে। ছবিগুলি তোলা হয়েছে ইনফ্রারেড টেলিস্কোপে। এই টেলিস্কোপটি বর্তমানে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে অবস্থান করছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটিই এযাবৎকালে তোলা বৃহস্পতির সবচেয়ে সুস্পষ্ট ছবি।
ছবিগুলি তুলতে টেলিস্কোপে ব্যবহার করা হয়েছে ‘লাকি ইমেজিং’ প্রযুক্তি। যার ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ছবি তোলার সময়ে কোনও ঝাপসাভাব আসেনি এবং ছবিও তোলা সম্ভব হয়েছে সুস্পষ্ট ও অসাধারণভাবে।
ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ হাবল টেলিস্কোপের তুলনায় কিছুটা অন্য ধাঁচের। হাবল টেলিস্কোপ যতটা পরিমাণ তরঙ্গদৈর্ঘ্য শনাক্ত করতে পারে, ইনফ্রারেড তার চেয়ে কিছু বেশি শনাক্ত করতে সম্ভব। যার ফলে এতদিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা শুধুমাত্র বৃস্পতির বহির্ভাগ দর্শন করেছিলেন, এবার অভ্যন্তরভাগ সম্পর্কেও আরও বেশি ধারণা তৈরি করতে পারবেন।
এমনিতেই পৃথিবীর রাতের অন্ধকার আকাশে যে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কগুলি খালি চোখে দেখা সম্ভব হয়, বৃহস্পতি গ্রহ তার অন্যতম। চাঁদ ও শুক্রগ্রহের পর পৃথিবীর চেয়ে ১৩০০ গুণ বড় এই বৃহস্পতিই রাতের আকাশে দেখা সবচেয়ে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। এই দানব গ্রহটি সুদীর্ঘকাল থেকেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের গবেষণার অংশ হিসাবে রয়েছে। হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসে পূর্ণ বৃহস্পতির এখনও পর্যন্ত ৭৯টি উপগ্রহ আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। এদের মধ্যে আইরো, ইউরোপা, ক্যালিস্টো ও গ্যানিমেড সবচেয়ে বড়ো।
Advertisement